১৯ জুন, ২০১৯ ১৯:৫২

নিখোঁজ সোহেল তাজের ভাগ্নের হোয়াটসআপ নাম্বার সচল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

নিখোঁজ সোহেল তাজের ভাগ্নের হোয়াটসআপ নাম্বার সচল

অপহরণের ১১ দিন পরও সন্ধান মেলেনি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের ভাগ্নে সৈয়দ ইফতেখার আলম সৌরভের। আলোচিত এ অপহরণ দিয়ে পুলিশ কোনো সুখবর দিতে না পারলেও মঙ্গলবার রাতে সৌরভের হোয়াটসআপ নাম্বার থেকে একাধিক বার কল এসেছে তার বাবা-মায়ের নাম্বারে। 

এখন হোয়াটসআপ নাম্বারের সূত্র ধরেই তদন্ত করছে পুলিশ।

সিএমপি’র উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বলেন, ‘সৌরভকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ সর্ব শক্তি প্রয়োগ করেছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।’ 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সকালে সৌরভের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তার হোয়াসটআপ নাম্বার খোলা রয়েছে। পরে পুলিশও তার সত্যতা পায়। এ নাম্বারের সূত্র ধরে পুলিশও তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।’

বুধবার দুই দফায় ফেসবুক লাইভে আসেন সৈয়দ ইফতেখার আলম সৌরভের মামা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ ও তার বাবা-মা। ওই ফেসবুকে দাবি করা হয় মঙ্গলবার গভীর রাতে সৌরভের হোয়াটসআপ নাম্বার থেকে কয়েক দফা ফোন আসে বাবা-মা’র মোবাইল নাম্বারে। এ সময় কল রিসিভ করা হলেও কেউ কথা বলেননি। 

এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় ফের ফেসবুক লাইভে আসেন সোহেল তাজ। এসময় তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।

তিনি বলেন, বিগত সময়ের সৌরভকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়। লাইভে তিনি সৌরভকে জীবিত ও অক্ষত ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।

মামলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এ অপহরণ নিয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ ঘটনার সন্দেহভাজনদের বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলছে না। তাদের দাবি-যে পাজেরো গাড়িটি ব্যবহার করে সৌরভকে অপহরণ করা হয়েছে সে গাড়ির নম্বর উদ্ধার, মোবাইল ফোনের কললিস্ট পর্যালোচনা, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ব্যক্তির পরিচয়, ভুয়া ঠিকানায় নিবন্ধন করা মোবাইল ফোনের নম্বর চিহ্নিতকরণসহ নানান তথ্য এখন পুলিশের হাতে রয়েছে। এসব তথ্য প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৯ জুন পাঁচলাইশ থানার আফমি প্লাজার পাশের সড়ক থেকে সৌরভকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে পাজেরো জিপে তুলে নেয়। এরপর থেকেই সৌরভ নিখোঁজ। সৌরভকে অপহরণ করা হয়েছে দাবি করে ১০ জুন পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা ইদ্রিস আলম।

 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর