চোখের জলে দুর্গাকে বিদায় দিলেন সনাতন ধর্মের লোকেরা। মঙ্গলবার দুপুর গড়াতেই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পরিণত হয় জনসমুদ্রে। সাগরের ঢেউয়ের গর্জন ছাপিয়ে ভক্তকণ্ঠের ‘জয় দুর্গা মায়ের জয়’ শ্লোগানে চলছে প্রতিমা বিসর্জন।
ভক্তদের কারও চোখে জল, কারো চেহারায় উত্তেজনা। কেউ শেষবারের মতো প্রণাম করছেন মাকে। কেউ দুর্গামায়ের চরণে, হাতে গুঁজে দিচ্ছেন চিরকুট।
পতেঙ্গা সৈকতে বেলা দুইটার পর থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। ঠেলাগাড়ি, রিকশাভ্যান, ট্রাক, পিকআপে করে নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিমার মিছিল আসতে থাকে পতেঙ্গা অভিমুখে। সকাল থেকে নগরের মণ্ডপে মণ্ডপে বাজে বিদায়ী সুর। ষোড়শ উপাচারে দশমীর বিহিত পূজায় দেশ-জাতি, ব্যক্তি ও পরিবারের সুখ, শান্তি, মঙ্গল কামনায় ব্যস্ত ছিলেন পূজার্থীরা।
মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার বলেন, এবার নগরে ২৭০টি মণ্ডপে পূজা হয়েছে। এর মধ্যে পতেঙ্গা সৈকতে ১২০-১৩০টি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। এছাড়া ফিরিঙ্গি বাজারের অভয়মিত্র ঘাটে, কাট্টলী সৈকতে, পাহাড়তলীর বিভিন্ন পুকুর-দীঘিতে, কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া জানান, প্রতিমা বিসর্জন নির্বিঘ্ন করতে একটি অস্থায়ী পুলিশ কনট্রোল রুম চালু করা হয়েছে সৈকতে। তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। র্যাবের টহল, নিয়মিত পুলিশ, নারী পুলিশ সদস্য, টুরিস্ট পুলিশসহ সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিমসহ ডুবুরিরাও। তবে গত ৫ দিনের পূজোর বিভিন্ন আয়োজনে সনাতনধর্মী লোকেরা নিশ্চিন্তে দুর্গাপূজার সব আয়োজন সম্পন্ন করেছেন। কোথাও কোনো বিড়ম্বনা বা অনাকাঙ্খিক কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান ওসি উৎপল বড়ুয়া।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল