চট্টগ্রাম মহানগরীর দেওয়ানহাট এলাকায় দু’টি গুদামে বিপুল পরিমাণ তৈরি গার্মেন্ট পণ্য পাওয়া গেছে। এই গুদাম দুটি স্থানীয় ‘আইয়ুবের গোডাউন’ নামে পরিচিত। চট্টগ্রাম ইপিজেড থেকে এসব পণ্য চোরাইপথে গোডাউনে এনে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ কাজটি চলে আসলেও বন্ড কমিশনারেট বা কাস্টমস গোয়েন্দা নজরে আসেনি।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) এর তথ্যের ভিত্তিতে গত সোমবার গভীর রাতে গুদামটি সিলগালা করা হয়। মঙ্গলবার সকালে র্যাব, বন্ড কর্মকর্তাদের দলটি সব গার্মেন্ট পণ্য গণনা করতে গেলে গোডাউনের মালিক এস এম আইয়ুব আলী পালিয়ে যান। পরে তালা ভেঙে সকাল থেকে পণ্য গণনা শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুটি গোডাউন একশ টন গার্মেন্ট পণ্যের সন্ধান মিলেছে। তবে সেগুলোর দাম কত এবং কত শুল্কফাঁকি রয়েছে তার হিসাব বের করতে বুধবার পর্যন্ত সময় লাগবে।
চট্টগ্রাম বন্ড কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার মাহফুজুল হক ভূঁইয়া র্যাবের তথ্যের ভিত্তিতে গোডাউনের মালিক এস এম আইয়ুব আলী ও র্যাব কর্মকর্তা এবং চট্টগ্রাম বন্ড কর্মকর্তার উপস্থিতিতে গোডাউন সিলগালা করা হয়। পরে সকালে নির্ধারিত সময়ে গোডাউন খুলতে গেলে আইয়ুব আলী অনুপস্থিত থাকেন। র্যাব কর্মকর্তারা তার বাড়িতে গিয়েও তাকে না পেয়ে। সিলগালা করা তালা ভেঙে প্রবেশ করেন এবং দিনভর গণনা চলে। তিনি বলেন, আমার কাছেও সন্দেহ হচ্ছে, গুদাম মালিক যদি অনিয়ম না করতেন, তিনি পণ্যের বিপরীতে কাগজপত্র দেখাতেন। কিন্তু সেটি না করে তিনি পালিয়ে গেছেন।
র্যাব-৭ সহকারী পুলিশ সুপার মাশকুর রহমান বলেন, সকালে বলেছিলেন শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা এসব কাপড়ের গুদামে অভিযান চলছে। যেখানে গার্মেন্ট কাপড়ের রোল ও তৈরি পণ্য পাওয়া গেছে। এসময় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা বলেন, আইয়ুব আলীর ৬ তলা ভবনকে গুদাম বানিয়ে বেশিরভাগ ফ্লোরেই এসব কাপড় রেখেছেন। গুদামে পাওয়া একশ টনের বেশি কাপড় সবই বিদেশি। কিন্তু সেই পণ্য বন্ডেড সুবিধায় আনা নাকি চট্টগ্রাম ইপিজেড বা বিভিন্ন বন্ড সুুুুবিধায় অবৈধভাবে বের করা সেটি তদন্তের পর জানা যাবে। তবে আইয়ুব আলীর নামে কোন বন্ড প্রতিষ্ঠান নেই।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক