চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এলাকায় মিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে সহযোগিতা করবে ডেনমার্ক সরকার।
সোমবার বিকেলে টাইগারপাস কার্যালয়ে চসিকজ মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসেন এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেনমার্ক দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর জেকব কাহল জেপসেন, ফায়ার এক্সপ্রেসের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হেনরিক নাবাই, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম ও তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক।সৌজন্য সাক্ষাৎকালে হেনরিক অগ্নি নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি কার্যকারিতা সম্পর্কে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। তথ্যচিত্রে সরু রাস্তায় ও বহুতল ভবণে আগুন লাগলে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে তা দ্রুত নেভানোর সক্ষমতা এ তুলে ধরা হয়। ডেনমার্ক রাষ্ট্রদূত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনসহ বাংলাদেশের সঙ্গে ডেনমার্কের সহযোগিতার ক্ষেত্র সমূহ সিটি মেয়রকে জানান।
সিটি মেয়র বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাত্তোর সময়ে ডেনমার্ক সরকার এদেশের উন্নয়নে সরাসরি অংশ নিয়েছে। তারা বাংলাদেশে পরিবহন, পানি পরিবহন, কৃষি, মৎস্য, গ্রামীণ উন্নয়ন, প্রযুক্তি ইত্যাদি খাতে সহায়তা প্রদান করেছে। এই জন্য ডেনমার্ক বাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
তিনি বলেন, ‘ঘন বসতি কারণে প্রায়শঃ শুস্ক মৌসুমে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাই অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের সরু রাস্তায় ও বহুতল ভবনে আগুন লাগলে তা দ্রুত নেভানোর লক্ষে ভ্রাম্যমাণ মিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাই।’
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
