বুকে হঠাৎ ব্যথা ওঠার পরপরই প্রথমে তাকে নেওয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে ভর্তি হতে না পেরে এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জিইসি এলাকার বেসরকারি মেডিকেল সেন্টারে। সেখান থেকেও ফিরিয়ে দেওয়ার পর গেলেন পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালে। সেখানেও একই চিত্র। এরপর বিভিন্নভাবে তদবির করে পার্কভিউতেই ভর্তি করানোর অল্পক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন চট্টগ্রাম নগরীর আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম ছগির।
চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়ে অরাজকতা ও বিষয়টি ঘিরে সমালোচনার ঝড়ের মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটলো মঙ্গলবার (৯ জুন) দুপুরে। মাত্র কয়েকঘন্টার মধ্যে এতো সব ঘটনার পর ৫৯ বছর বয়সী শফিউল আলম ছগির মারা যান দুপুর আড়াইটার দিকে।
চিকিৎসকরাই এখন বলছেন, চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম ছগিরের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে। অথচ করোনা সন্দেহে তাকে ভর্তি নেয়নি তিন তিনটি হাসপাতাল, এর মধ্যে আছে খোদ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালই। সামান্য চিকিৎসার অভাবে নির্মমভাবেই মারা গেলেন চট্টগ্রামের এই আওয়ামী লীগ নেতা।
এমন মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনও। মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, মঙ্গলবার সকালে আমাদের থানা আওয়ামী লীগের এক সেক্রেটারি স্ট্রোক করেছিলেন। তাকে তিন-চারটা হাসপাতালে নেওয়া হলেও কোনো হাসপাতালেই সিট খালি নেই- এমন অজুহাতে ভর্তি করায়নি। পরে যখন পার্কভিউ হাসপাতালে নেওয়া হলো তখন চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন তিনি আর বেঁচে নেই।
সিটি মেয়র আরও বলেন, সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে তিনি বেঁচে থাকতেন। বেসরকারি হাসপাতালগুলোর এ ধরনের অমানবিকতা সহ্য করা হবে না।
সূত্র: চট্টগ্রাম প্রতিদিন।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ