করোনাকালেও কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড স্থাপন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের ইতিহাসে ঘণ্টায় প্রায় পঞ্চাশ টিইইউএস হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) সূত্র । বন্দরের পরিবহন বিভাগ বলছে, করোনা পরিস্থিতিতে চারদিকের ভয়াবহ অবস্থার মাঝেও বন্দরের অভ্যন্তরে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কাজ হচ্ছে। বহির্নোঙরে জাহাজ জট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে ।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১১ নম্বর বার্থে “এমভি মার্কস বিনতুলু” নামের সিঙ্গাপুরে একটি কন্টেনার জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে এ যাবতকালের রেকর্ড ভঙেছে। মাত্র ৮৪ ঘণ্টায় চার হাজারেরও বেশি আমদানি রপ্তানি পণ্য বোঝাই কন্টেনার হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা প্রতি ঘণ্টায় প্রায় পঞ্চাশ টিইইউএস কন্টেনার।
বন্দরের ১১ নম্বর বার্থ অপারেটর 'বশির আহমদ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডে'র সিইও মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, 'কোন রেকর্ড সৃষ্টির লক্ষ্যে নয়, করোনা পরিস্থিতির মাঝেও আমরা আমাদের মতো কাজ করেছি। তবে এতে রেকর্ড তৈরি হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় পঞ্চাশ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং সহজ কথা নয়' বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
চবক সূত্র জানিয়েছে, এমভি মার্কস বিনতুলু নামের জাহাজটি ২০৫৮ টিইইউএস কন্টেনার নিয়ে গত ১১ জুন বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। আমদানি কন্টেনারগুলো খালাসের পর জাহাজটিতে সিঙ্গাপুর নেয়ার জন্য রপ্তানিপণ্য বোঝাই ১৯৮০ টিইইউএস কন্টেনার আপলোড হয়। সোমবার ভোরে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, তিনটি ক্রেন ব্যবহার করে আমদানি এবং রপ্তানি পণ্য বোঝাই সর্বমোট ৪ হাজার ৩৮ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং করা হয়। এর আগে এত দ্রুততম সময়ে এত বিপুল পরিমান কন্টেনার হ্যান্ডলিং এর রেকর্ড নেই। এমভি মার্কস বিনতুলু জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট মার্কস বাংলাদেশ লিমিটেড। শ্রমিক কর্মচারীসহ বন্দরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের চেষ্টায় এটি সম্ভব হয়েছে। এভাবে প্রতিটি বার্থে হ্যান্ডলিং হলে জাহাজের অবস্থানকাল কমে যাওয়া ছাড়াও বহির্নোঙরে দেখা দেয়া জট থেকেও মুক্তি মিলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক