কর্ণফুলী বাঁচানো শুধু চট্টগ্রামবাসীর নয় ১৮ কোটি মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। কারণ কর্ণফুলী না বাঁচলে চট্টগ্রাম বন্দর বাঁচবে না। বন্দর না বাঁচলে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কর্ণফুলী নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার প্রত্যয়ে জনসংহতি, সম্পৃক্তকরণ ও কর্ণফুলী রক্ষায় আয়োজিত সাম্পান র্যালিপূর্ব সমাবেশে বক্তরা এসব কথা বলেন বক্তরা।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদের সঞ্চালনায় এবং যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত সাম্পান র্যালিপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন শফর আলী, মশিউর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ হোসেন, আবু তাহের, সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, বেলাল আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা ড. মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ প্রমুখ।
সাম্পান র্যালি অভয়মিত্র ঘাট থেকে শুরু হয়ে কর্ণফুলী ব্রিজ পর্যন্ত গিয়ে আবার অভয়মিত্র ঘাটে ফিরে আসে। র্যালিতে সুসজ্জিত ১০০টি সাম্পান অংশ নেয়। এ সময় নদীর তীরে সমবেত হাজার হাজার মানুষ হাততালি দিয়ে সাম্পান র্যালিকে অভিবাদন জানান।
আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী প্রায় ৮০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে কম করে হলেও ৩০০টিরও বেশি কলকারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। শিল্প ও কলকারখানাগুলোর দূষিত তরল বর্জ্য নদীতেই ফেলা হচ্ছে। তাই এই নদীর পানি বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। মৎস্য বিচরণের পরিবেশ নেই বললেই চলে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন