শিরোনাম
১৮ অক্টোবর, ২০২০ ২০:২০

রেডক্রিসেন্ট মাতৃসদনে প্রসূতির সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

রেডক্রিসেন্ট মাতৃসদনে প্রসূতির সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ

চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা রেডক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালে এক প্রসূতি প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরিচিত এক যুবক ডেলিভারি বিল কমিয়ে দেওয়ার নাম করে নগদ ১০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযো। প্রতারককে চিহ্নিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রতারিত ওই প্রসূতির পিতা যোগাযোগ করলে তাদের কাছে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নেই বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। 

বিষয়টি নিয়ে সোরগোল করলে প্রসূতির সেবা কমিয়ে দেওয়া হবে বলে দায়িত্বশীল নার্সরা উল্টো শাষিয়ে দেন বলেও অভিযোগ করেন প্রসূতির পিতা হারুনুর রশিদ।

জানা গেছে, গত ১৫ অক্টোবর আনোয়ারার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের সন্তান সম্ভাবা জান্নাতুল ফেরদৌসকে আন্দরকিল্লাহ রেডক্রিসেন্ট মাতৃসদনে ভর্তি করানো হয়। ওইদিন রাত ১১ টায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার সন্তান ভূমিষ্ট হয়। ১৭ অক্টোবর হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৩০৫ নম্বর কেবিনে অপরিচিত এক যুবক মাতৃসদনের কর্মী পরিচয় দিয়ে প্রসূতির পিতা হারুনুর রশীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলেন। এক পর্যায়ে তাদের মোট বিল থেকে বড় একটি অংশ কমিয়ে দেওয়ার নাম করে ফাইল নিয়ে হারুনুর রশীদসহ নিচতলার ক্যাশ কাউন্টারে যান। সেখানে গিয়ে কত টাকা আছে জানতে চাইলে হারুনুর রশীদ টাকা-পয়সা সব তার মেয়ের ননদের কাছে গচ্ছিত বলে জানান। এরপর তাকে নিয়ে ওই প্রতারক আবার কেবিনে গিয়ে প্রসূতির স্বামীর বড় বোনের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা এবং বড় স্যারের কাছে ফোন করার বাহানা দিয়ে ওই মহিলার কাছ থেকে মোবাইল সেটটি নিয়ে নিচে নেমে যান। এরপর বৃদ্ধ হারনুর রশীদকে এক জায়গায় বসিয়ে রেখে টাকা আর মোবাইলটি নিয়ে প্রতারক ওই যুবক পালিয়ে যায়। অনেক্ষণ পরও ওই যুবক ফিরে না আসায় হারুনুর রশীদের সন্দেহ হলে তিনি মেয়ের কেবিনে গিয়ে বিষয়টি মেয়েকে এবং মেয়ে জামাইয়ের বড় বোনকে জানালে তারা দ্রুত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবহিত করেন। একই সঙ্গে তারা ওই প্রতারককে চিহ্নিত করার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চাইলে কোনো ক্যামেরা ফুটেজ নাই বলে জানিয়ে দেন।

এ বিষয়ে রেডক্রিসেন্ট মাতৃসদনের যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা প্রসূতির পিতা এবং প্রসূতির বরের বড় বোনোর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। আসলে কারো সঙ্গে টাকার কোনো লেনদেন হয়নি। এটা তারা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিয়েছেন। তবুও প্রতারককে চিহ্নিত করতে আমাদের সহযোগিতা লাগলে অবশ্যই আমরা দেব।      


বিডি প্রতিদিন/হিমেল 

সর্বশেষ খবর