মুক্তিযুদ্ধের বিজয়লগ্নে বাংলাদেশকে পঙ্গু করতে চট্টগ্রাম বন্দরে অসংখ্য মাইন পুঁতে যায় পলায়নরত পাকিস্তানিরা। সেসব মাইন অপসারণের জন্য বঙ্গবন্ধুর সরকারের আমন্ত্রণে রাশিয়ান ৮০০ নৌ সেনা ২৬ মাস কাজ করেন। ১৯৭৩ সালে মাইন অপসারণ অভিযানে নিহত হন সোভিয়েত ইউনিয়নের নাগরিক নৌসেনা ইউরি রেডকিন। তাঁর সম্মানে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী লালদিঘি লাগোয়া স্থানে স্মারক তৈরি করেছেন চট্টগ্রামে রাশিয়ার অনারারি কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান। বাংলাদেশের অকৃত্রিম এই রাশান বন্ধুকে স্মরণীয় করে রাখতে এই স্থপতির অবদানের জন্য রাশিয়ার সরকার তাকে উচ্চ সম্মানজনক "বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা মেডেল" এ ভূষিত করেছেন।
ইউরি রেডকিনের সম্মানে চট্টগ্রামের লালদীঘি এলাকার এই মেমোরিয়ালটি রাশিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশের নিযুক্ত রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ইগনাতভ আজ
সোমবার দুপুরে আশিক ইমরানকে মেডেলটি হস্তান্তর করেন। রাষ্ট্রদূত আশিক ইমরানকে তার এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই মেমোরিয়াল দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।
তিনি এই মেমোরিয়াল বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিনকেও ধন্যবাদ জানান।
আশিক ইমরান বলেন, বাংলাদেশ এবং রাশিয়ার মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক একটি শক্তিশালী ঐতিহাসিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত এবং রেডকিন মেমোরিয়াল স্থাপনের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো যে, বাংলাদেশ কখনোই তার প্রকৃত বন্ধুদের ভুলে যায় না।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা