তারিক ইমতিয়াজ আক্ষেপ করে বলেছেন, দলের কিছু ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য মৃত্যুর আগে আমার ভাইকে (তারেক সোলায়মান সেলিম) বিদ্রোহী অপবাদ নিয়ে মরতে হয়েছে। এর বিচার আল্লাহর কাছে দিলাম। দলের জন্য তিনি নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। ছিলেন দলের দুঃসময়ের নির্যাতিত নেতাও। যার প্রমাণ আজ উপস্থিত আমার ভাইয়ের নামাজের জানাজা।
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ নেতা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিমের জানাজা বেলা ২টায় পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নিতে বেলা ১টা থেকেই পুরাতন রেল স্টেশন এলাকায় জড়ো হন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পুরাতন রেল স্টেশনের মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে পাশের সড়কেও জানাজার কাতার হয়।
এসময় উপস্থিত জানাজায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, তারেক সোলেমান সেলিমের ছেলে মোহাইমেনুল তারেক রাতুল ও ছোট ভাই তারিক ইমতিয়াজসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা।
জানাজার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তারেক সোলেমান সেলিমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, তারেক সোলেমান সেলিম দলের জন্য নিবেদিত ছিলেন। তার অবদান কেউ ভুলতে পারবে না। তার জানাজায় এত মানুষের উপস্থিতি তার জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে।
সাবেক কাউন্সিলর ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও সংগঠক জামাল হোসেন বলেন, তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতি কর্মী এবং জনপ্রতিনিধি। তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিত প্রাণকে হারিয়েছেন। তিনি ছিলেন, দলের দুঃসময়ের সৈনিক।
জানাজায় অংশ নেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। গত সোমবার দুপুরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারেক সোলেমান সেলিম।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
