চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার চক্রের হোতা প্রতারক সাইফুল ইসলাম সাইফ (৩২) অবশেষে বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছে। গত বুধবার রাতে ৯টায় মীরসরাই উপজেলার দূর্গাপুর বাজার থেকে জোরালগঞ্জ থানা পুলিশ সাইফুলকে অস্ত্রসহ আটক করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তবে সাইফুল এটা তার বৈধ অস্ত্র বলে দাবি করলেও তার সপক্ষে কোন লাইসেন্স দেখাতে পারেনি। সিএন্ডএফ ব্যবসার নামে ব্যবসায়িক পার্টনারের ৭০ কোটি টাকা মেরে দেয়ার নায়ক ধৃত প্রতারক সাইফুল ইসলাম মীরসরাই উপজেলার পূর্ব দূর্গাপুর গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাসের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুটি ও বন্দর থানায় হওয়া একটি মামলায় সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আছে পণ্য খালাসের নামে আত্মসাৎ ও একাধিক প্রতারণা মামলায়ও। তারপরও এ সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বন্দর-কাস্টমসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা। এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে জালিয়াতি বন্ধ হবে না বলেও মনে করছেন তারা।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম বুধবার রাত ১০টার দিকে পূর্ব দূর্গাপুর গ্রামের সাইফুলের নিজ বাড়ি থেকে ইটালিয়ান একটি পিস্তল ও ৮ রাউন্ড গুলিসহ আটক করে। এ বিষয়ে অস্ত্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অনুসন্ধানে পুলিশ জানায়, জাল ডকুমেন্টে পণ্য খালাস ও সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এরই মধ্যে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বন্দরের কন্টেইনার ও পণ্য লোপাট চক্রের হোতা সাইফুল ইসলাম। চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানিকৃত পণ্য ও কন্টেইনার গায়েব চক্রের মূল হোতা সাইফুলের বিরুদ্ধে রয়েছে অন্তত অর্ধ-ডজন প্রতারণা ও লুটপাটের মামলা ও একডজন সাধারণ ডায়রি।
নওশাদ মাহমুদ রানা নামে কেন্দ্রীয় যুবলীগ সাবেক এক নেতার সাথে সিএন্ডএফ ব্যবসার নামে সাইফুল রানার ৭০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। সে টাকা না দিয়ে বাঁচার জন্য সাইফুল গত বছরের ১৭ অক্টোবর শুক্রবার নিজেকে অপহরণের নাটক সাজায়। পরে সে ঘটনা ফাঁস হয়ে যায় মিডিয়ায়। এদিকে অপহরণ নাটক সাজিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর সাইফুল নওশাদ মাহমুদ রানাকে ম্যাসেজ পাঠিয়ে হুমকি দেয়। এ নিয়ে থানায় জিডি করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর