চট্টগ্রামে খুলেছে শপিংমল, দোকানপাট ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট-শপিংমলগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বেচাকেনার সরকারি ঘোষণার পর রবিবার থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেন। তবে ১৪ এপ্রিল থেকে লকডাউনের কারণে বন্ধ থাকার পর প্রথম দিন হওয়ায় আজ ক্রেতার সংখ্যা ছিল খুবই নগণ্য।
ব্যবসায়ীরা জানান, রমজান মাস তাদের বেচাকেনার মৌসুম। গতবছরও ঈদে কোনো ব্যবসা হয়নি। এ ক্ষতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এবছরও দোকান বন্ধ থাকলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতো। ঈদের বাকি আর মাত্র ১৬/১৭ দিন। এই কয়দিনে যা হয় হবে।
এদিকে, দোকান খোলা রাখার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি তদারকি করছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ বিষয়ে দোকান মালিক সমিতি এবং ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলা ও চিটাগাং মেট্রোপলিটন শপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এই পেশায় জড়িত ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে শপিংমল-দোকান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির জেলা সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান বলেন, গত বছরে লকডাউনের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি ব্যবসায়ীরা এখনো পর্যন্ত পুষিয়ে উঠতে পারেনি। ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসায়ীরা কোন ধরনের আর্থিক প্রণোদনা পায়নি। ব্যাংক ঋণ ও দোকানের পাওনা মেটাতে তাদের অবস্থা শোচনীয়।
অন্যদিকে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও গণ-পরিবহন না থাকায় কাজে যোগদানের ক্ষেত্রে মানুষকে পোহাতে হয়েছে চরম দুর্ভোগ। নগরের মোড়ে মোড়ে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেককে। অধিক ভাড়া দিয়েও যানবাহন পাওয়া যায়নি নগরীর বিভিন্ন স্থানে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর