আবারও টানা বর্ষণে এক হাঁটু পানিতে ডুবললো চট্টগ্রাম নগরী। একদিকে লকডাউনের দুর্ভোগ, অন্যদিকে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি। ফলে অন্তহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে ভোক্তভোগী মানুষকে। স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো নগরী। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। এর আগে এ মৌসুমে গত ৬ ও ৭ জুন টানা বর্ষণে পুরো নগরী ডুবে যায়।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কয়েক দফা ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর অনেক এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি জমে যায়। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে ঘরবাড়ি-সবদিকে থৈ থৈ করছে পানি।
জানা যায়, নগরীর অধিকাংশ খাল ও নালা ভরাট হয়ে গেছে। হয়েছে বেদখলও। ফলে পানি নামার পথ প্রায় সরু হয়ে যায়। বর্ষা মৌসুমের আগে অনেক খাল পরিষ্কার করা হয়নি। তাই বৃষ্টি হলেই পানি উঠে যাচ্ছে নগরের নিম্নাঞ্চলে। গত বুধবার বিকেলেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে বিপুলসংখ্যক মানুষ। নগরীর হালিশহর, বাকলিয়া, মুরাদপুর, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, কাপাসগোলা, হামজারবাগ, অক্সিজেন, বহদ্দারহাট, চকবাজার, মোহাম্মদপুর, শুলকবহর, আগ্রাবাদ সিডিএসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। ওইসব এলাকা হাঁটু পানিতে ডুবে গেছে রাতেই। কোনো কোনো এলাকায় পানি উঠে যায় কোমরসমান।
জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। অন্যদিকে দুই হাজার ৩১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করছে ‘কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু হতে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প।
সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও মেগা প্রকল্পের পরিচালক আহমদ মঈনুদ্দীন বলেন, প্রকল্পের অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। আগের তুলনায় চট্টগ্রামে এখন পানি কম জমে থাকছে। প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে জলাবদ্ধতার সমস্যা আর থাকবে না।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন