করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে না দেওয়ায় ‘খান সাহেব আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়’র প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি মিয়া মো. হারুন খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে সিএমপি’র ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে না দেয়ায় খান সাহেব আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্চিত করার অভিযোগে মামলা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
পুলিশ জানায়, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. একরাম মিয়া মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ ব্যবহারের অনুমতি চান। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেননি প্রধান শিক্ষক মো. নিজাম উদ্দিন। কিন্তু অনুমতি ছাড়াই গত ২৫ জুন সেখানে বিয়ের আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হুমকি ধমকি দিতে থাকেন একরাম ও তার সহযোগীরা। এ ব্যাপারে শিক্ষাবোর্ডে অভিযোগ করলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ৩০ জুন পাঁচলাইশ-ডবলমুরিং থানা শিক্ষা অফিসার মো.শফিউল আলমের নেতৃত্বে তদন্ত দল বিদ্যালয়ে আসে ঘটনাটি তদন্ত করতে। এসময় প্রধান শিক্ষকসহ আরও কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্চিত করে একরাম মিয়ার ভাই যুবদল নেতা মিয়া মো.হারুন খান, আরেক ভাই জানে আলম, মো.মাসুদ, মো.প্রিন্স এবং মো.আল নাহিয়ান। শনিবার এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল