ব্যবসায়ী নেজাম পাশাকে খুনের পর সিগারেটের প্যাকেটে আনমনে কিছু কথা লিখেন বাড়ির কেয়ারটেকার মো. হাছান। ওই চিরকুটই সূত্র ধরেই পুলিশ গ্রেফতার করে ব্যবসায়ী নেজাম পাশা খুনের অন্যতম হোতা হাছানকে। গ্রেফতারের পর হাছান পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন খুনের আদ্যোপান্ত। বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ খুনের বিস্তারিত বর্ণনা দেয় সিএমপির উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোখলেসুর রহমান।
উপ-পুলিশ কমিশনার মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য পরিকল্পিত ভাবে ব্যবসায়ী নেজাম পাশাকে হত্যা করে। খুনের পর তার পরিবার থেকে কিছু টাকাও নেয়। পরে তার লাশ পরিত্যক্ত পলিথিন, কাঁদা বালির মধ্যে লাশ লুকিয়ে রাখে।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাছান একাই খুন করার কথা স্বীকার করেছে। নেপথ্য আর কেউ রয়েছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে। গ্রেফতার হওয়া হাসানের বিরুদ্ধে আগেও অপহরণসহ একাধিক মামলা রয়েছে।’
খুলশী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান বলেন, নেজাম পাশার লাশ উদ্ধারের পর খুনের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য তৎপরতা শুরু করে। এরই মধ্যে পুলিশের কাছে খবর আসে নেজাম পাশার ভবনের কেয়ারটেকার ওই দিন রাতে সিগারেটের প্যাকেটে কিছু লিখেছে। সোর্স মাধ্যমে ওই লেখাটি সংগ্রহ করা হয়। ওই চিরকুটে তিনি লেখেন- ‘ অনেক দুঃখ মনে, তাই একবার জীবনটাকে বাজি রেখেছি। এ কাজটা করেছি টাকার দরকার ছিল তাই।’ এ চিরকুটের সূত্রধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে খুনের কথা স্বীকার করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর নগরীর খুলশী থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ব্যবসায়ী নেজাম পাশার লাশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সেলিনা ইয়াছমিন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার