দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর চারটি কার্প জাতীয় মাছ এবং ডলফিনের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য (জিনোম সিকুয়েন্স) ৪৪৪ উন্মোচিত হয়েছে। মঙ্গলবার আয়েজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ সম্পর্কিত ঘোষণা প্রদান করেন পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি।
এ সময় তিনি চট্টগ্রামের রাউজানে একটি হ্যাচারি সম্বলিত গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ’র অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের।
অনুষ্ঠানে হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মনজুরুল কিবরীয়া হালদা নদীভিত্তিক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের ওপর এবং প্রফেসর ড. এএমএএম জুনায়েদ সিদ্দিকী কার্প জাতীয় মাছ ও ডলফিনের পূর্ণাঙ্গ জিনোম বিষয়ে তথ্য উপস্থাপনা প্রদান করেন।
কার্প জাতীয় মাছ ও ডলফিনের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য উন্মোচন গবেষণায় নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এএমএএম জুনায়েদ সিদ্দিকী। গবেষণা সহযোগিতায় ছিলেন চবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সুমা আক্তার, নাজনীন ইসলাম, সাবিহা মুস্তফা অর্পা, আবদুল্লাহ আল আশেক এবং আজলিনা কবির।
প্রায় দুই বছর ধরে চলা এ গবেষণায় অর্থায়ন করেছে পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ)।
জিনোম সিকুয়েন্সিং উন্মোচনের ফলে, এ অঞ্চলের প্রধান কার্পসমূহ ও ডলফিনের জিনের বিন্যাস, বিবর্তনের গতিপথ, সংরক্ষণ এবং সর্বোপরি জাতিগত বিস্তৃতি সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা পাওয়া সম্ভব হবে। এছাড়া, হালদা নদী বিষয়ে আগ্রহী শিক্ষার্থী ও উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তাদের গবেষণা সহায়তা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে একটি হ্যাচারি সম্বলিত গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এটির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হলো।
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার বলেন, ‘হালদা নদীর পরিবেশ উন্নয়ন ও কার্প জাতীয় মাছের স্বাতন্ত্র রক্ষায় পিকেএসএফ এর সহযোগিতা অব্যহত থাকবে।’
বিডি প্রতিদিন/এএম