২৪ মে, ২০২২ ১৬:৪২

মৃত প্রবাসী ও রোগী পরিবহনে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অ্যাম্বুলেন্স

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

মৃত প্রবাসী ও রোগী পরিবহনে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অ্যাম্বুলেন্স

ফাইল ছবি

প্রতি মাসে চট্টগ্রামের গড়ে ৫০ থেকে ৬০ প্রবাসী বিভিন্ন দেশে মারা যান। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে তাদের মরদেহ দেশে ফেরত আনা হয়। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে মরদেহ প্রবাসীর বাড়িতে পৌঁছানোর মত বিশেষ কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ফলে প্রবাসীর স্বজনদের বিমানবন্দরে এসে নানা রকম দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হত। তবে এবার মৃত প্রবাসীর মরদেহ এবং রোগী পরিবহনে চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উদ্যোগে এ কার্যক্রম চালু করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ প্রবাসী আছেন। চট্টগ্রাম জেলার আছে ১৫ লাখেরও বেশি প্রবাসী। প্রতি মাসে চট্টগ্রামের বাসিন্দা এমন প্রবাসী মারা যান ৫০ থেকে ৬০ জন। এর সঙ্গে আছে অসুস্থ রোগী। কিন্তু অতীতে রোগী পরিবহনে কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এখন উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স পরিচালনায় করা হয়েছে নীতিমালা।   

চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, প্রবাসী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণ ও চিকিৎসা সহায়তার জন্য চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। এখন থেকে এই অ্যাম্বুলেন্স সেবার মাধ্যমে চট্টগ্রাম মহানগর এবং জেলার ১৫টি উপজেলায় নির্দিষ্ট ভাড়ার বিনিময়ে বিদেশ থেকে আগত মৃত প্রবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের মৃতদের পরিবহন করা যাবে। এছাড়াও অসুস্থ প্রবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পরিবহন ও নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহার করা যাবে।

জানা যায়, প্রবাসী নিজের পাসপোর্ট চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ে জমা দেবে। এরপর কর্মসংস্থান অফিস পাসপোর্ট নং দিয়ে প্রবাসীকে ভেরিফিকেশন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করবে। এরপর প্রক্রিয়া শেষ করে নির্দিষ্ট ভাড়ার মাধ্যমে মৃতদেহ কিংবা রোগী পরিবহন করা হবে। 

এছাড়াও জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রবাসবন্ধু কল সেন্টার, বিদেশগামীদের তথ্য প্রদান, বিদেশে মৃত্যুবরণকারী বৈধ কর্মীর ওয়ারিশকে তিন লাখ টাকা অনুদান প্রদান, বিদেশে জেলে আটক কর্মীদের দেশে ফেরত আনতে সহায়তা, প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা, প্রবাসীদের বিভিন্ন অভিযোগ নিষ্পত্তিকরণ এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস-হাইকমিশনের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীদের আইনগত সহায়তা দেওয়া হয়।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর