ন্যাশনাল আই কেয়ারের সাবেক মহাপরিচালক আধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেছেন, চমেক হাসপাতালে ভর্তি সব রোগীকে আমি দেখেছি। কমবেশি সবারই কোনো না কোনোভাবেই চোখে আঘাত রয়েছে। এর মধ্যে ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে হবে। মঙ্গলবার দুপুরে রোগীদের দেখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চকেকের অধ্যক্ষ ডা. শাহেনা আক্তার, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান।
আধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে এখানে এসেছি। চমেক হাসপাতলে চিকিৎসাধীন ৬৩ জন রোগী দেখেছি। তারা কোনো না কোনোভাবে চোখে আঘাত পেয়েছেন। এখানে কিছু রোগী রয়েছেন তাদের চোখে বেশি ক্ষতি হয়েছে। আবার কিছু রোগী শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাত পেয়েছেন তারাও কোনো না কোনোভাবে চোখে আঘাত পেয়েছেন। এসব রোগীর চিকিৎসায় উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মেডিক্যাল টিম গঠন করা হবে। রোগীদের পরিবারের সদস্যদের অনুমতিক্রমে প্রত্যেক রোগীকে ঢাকা নেয়া হবে। সব আল্লাহর হাতে। এরপরেও মানসিক প্রশান্তির জন্য তাদের ঢাকায় নেওয়া উচিত। কেননা তাদের একজনের অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে দেশের বাইরেও নিয়ে যেতে হতে পারে।
তিনি বলেন, আহত ব্যক্তিদের চোখে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হতে পারে। তাই তাঁদের নিয়মিত বিরতিতে চিকিৎসা দেওয়া হবে। বেশির ভাগই সুস্থ হয়ে যাবেন। রাসায়নিকের কারণে চোখে সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। তবে কোন কোন রাসায়নিকের কারণে চোখে সমস্যা হয়েছে, তা এখনই বলা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত এ চক্ষু চিকিৎসক বলেন, যেসব রোগীর শরীরের অন্যান্য অঙ্গের অবস্থা খুবই খারাপ তাদের এখনই ঢাকা নেওয়া সম্ভব না। আরও সপ্তাহখানেক পরে বোঝা যাবে তাদের ঢাকায় নেওয়া যাবে কিনা।
তিনি বলেন, সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের চিকিৎসাসেবা মনিটর করার জন্য চমেক হাসপাতালে এসেছি। চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খুব ভালোভাবে এসব রোগীর চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। এটা অকল্পনীয়। এখানকার চিকিৎসক-নার্সদের ধন্যবাদ।
বিডি প্রতিদিন/এএম