চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হওয়া মাসুদ রানা (৩৭) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটের সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এছাড়াও আজ বুধবার সন্ধ্যার দিকে ডিপো থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে সীতাকুণ্ড ট্রাজেডিতে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মাসুদ রানা বিএম কনটেইনার ডিপোর আরএসটি অপারেটর ছিলেন। তার বাড়ি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ির ভাটার গোপীনাথ পুরে। তার বাবার নাম খলিলুর রহমান এবং মাতার নাম জমিলা বেগম।
চমেক হাসপাতালের আইসিইউর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হারুনুর রশিদ বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাসুদ রানাকে আইসিইউতে আনা হয়েছিল। শুরু থেকে তার অবস্থা খারাপ ছিল। মঙ্গলবার গভীর রাতে তিনি মারা যান। অন্যদিকে, ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা বলেন, আজ বুধবার সন্ধ্যার দিকে কন্টেইনার অপসারণের সময় একটি লাশের সন্ধান মেলে। একই সময় একটি মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকার বিএম কনটেইনারে গত শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার সকালে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ৪৫ জন নিহত এবং তিন শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। নিহতদের মধ্যে ১৭ জনের মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। গত সোমবার ডিএনএ টেস্টের জন্য অজ্ঞাতদের স্বজনদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এ ঘটনায় আহত হয়ে ইতোমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৫৫ জন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ৫৯ জন। এর মধ্যে বার্ন ইউনিটে ২৮ জন, নিউরো সার্জারি বিভাগে ১ জন, অর্থোপেডিক বিভাগে ৭ জন, সার্জারি বিভাগে ১০ জন, চক্ষু বিভাগে ৯ জন এবং নাক কান গলা, মেডিসিন বিভাগ ও ইউরোলজি বিভাগে একজন করে ভর্তি আছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন ৭৫ জন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে ৫ জনকে। ভর্তিকৃত রোগীদের চিকিৎসায় চিকিৎসক ও নার্সরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর