মিরসরাইয়ে চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক কমিটির বিভাগীয় তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। এতে মাইক্রোবাস চালক-গেটম্যানকে দায়ী করার পাশাপাশি ৬টি সুপারিশ করা হয়। অন্যদিকে রেলওয়ের অপর উচ্চ পর্যায়ের কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন আগামীকাল সোমবার বা মঙ্গলবারের মধ্যেই দাখিল করার জন্য প্রায় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনার বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তে উঠে আসেনি এমন তথ্য-উপাত্ত উচ্চ তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে নিশ্চিত করেছেন। এসব তথ্যের মধ্যে থাকতে পারে আগের তদন্তের চেয়ে আরও বেশি সুপারিশ ও অনেকেই জড়িতসহ নানা তথ্য।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রেলওয়ের বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে কয়েকদিন আগেই। উচ্চ পর্যায় বা এডিশনাল লেভেলের গঠিত তদন্ত রিপোর্ট এখনো দাখিল হয়নি। তদন্তে আরও গভীরতা, সঠিক তথ্য তুলে ধরা এবং কমিটির সদস্যদের পৃথক নানা কাজের কারণে এতোদিন প্রতিবেদন দেওয়া যায়নি। তবে এই রিপোর্টের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বিষয়টি অতিব গুরুত্বপূর্ণ, সে কারণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সঠিক তথ্যটা তুলে ধরার জন্য কিছুটা সময় লাগছে বলে জানান তিনি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই ঘটনার দিনই গঠিত রেলওয়ের উচ্চ ও বিভাগীয় পৃথক তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তের কাজ করেছেন। পৃথক কমিটির মধ্যে দায়িত্বে রয়েছেন উচ্চপর্যায়ের ৪ সদস্য কমিটির আহ্বায়ক পূর্বাঞ্চলের এডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার (ট্র্যাক) মো. আরমান হোসেন। অন্যরা হলেন এডিশনাল সিওপিএস জাকির হোসেন, এডিশনাল সিএমই মোস্তফা মো. হাসান, এডিশনাল সিএসটি তারেক মো. সামস তুষার।
অপরটি ছিল ৫ সদস্যের চট্টগ্রাম বিভাগীয় তদন্ত কমিটি। এটির আহ্বায়ক ছিলেন বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) মো. আনছার আলী। কমিটির সদস্যরা হলেন-বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী-১ আবদুল হামিদ, বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (লোকো) জাহিদ হাসান, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) কমান্ড্যান্ট রেজানুর রহমান ও বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার (ডিএমও) মো. আনোয়ার হোসেন।
জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই মিরসরাইয়ে বড়তাকিয়া নামক লেভেল ক্রসিং গেটের প্রায় এক কিলোমিটার দূরে চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ১৩ জনের মধ্যে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। এরপর গত ৫ ও ৬ আগস্ট পৃথকভাবে আরও দুজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই