২৬ নভেম্বর, ২০২২ ২২:১১

আয়াত হত্যার এজাহার নিয়ে ‘বিতর্ক, রিমান্ডে আবির

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

আয়াত হত্যার এজাহার নিয়ে ‘বিতর্ক, রিমান্ডে আবির

আলিনা ইসলাম আয়াত

চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা সাত বছরের শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতকে ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে চট্টগ্রামে। আসামি গ্রেফতার হওয়ার দুই দিন পর দায়ের করা মামলায় আসামি ‘অজ্ঞাত’ উল্লেখ করায় সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। 

বিজ্ঞ আইনজীবীদের মতে, আসামি সনাক্ত এবং গ্রেফতার হওয়ার পরও দায়ের হওয়া মামলায় অজ্ঞাত দেখানো হওয়ায় আসামি বিশেষ সুবিধা পাবে।

সিএমপি’র বন্দর জোনের উপ-কমিশনার সাকিলা সুলতানা বলেন, ‘আয়াত নিখোঁজ হওয়ার পর ইপিজেড থানায় করা সাধারণ ডায়েরিটি মামলায় রূপান্তর করা হয়েছে। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করায় অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে। ‘অজ্ঞাত’ আসামির কারণে মামলার মেরিট নষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই।’

তবে মানবাধিকার নেতা এবং চট্টগ্রাম বারের সিনিয়র আইনজীবী জিয়া হাবিব আহসান বলেন, ‘আসামির তথ্যের ভিত্তিতে যখন লাশ উদ্ধার এবং খুনের কাজে ব্যবহার করা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাই তাকে আসামি করা যেত। লাশ উদ্ধারের পর মামলা দায়ের সময় নাম উল্লেখ না করার কারণে বিচারে বিশেষ সুবিধা পাবে আসামি। এমন কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’  

জানা যায়, শুক্রবার সকালে আয়াতের লাশ উদ্ধারের পর রাতেই নগরীর ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার বাদী হন নিহত শিশু আয়াতের বাবা সোহেল রানা। যাতে আবির মিয়ার নাম উল্লেখ না করেই অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। অথচ গত বৃহস্পতিবার রাতে আবিরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আয়ানের ছয় টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় আয়াতের খুনের কাজে ব্যবহার করা বটি এবং এন্টিকাটার।

এদিকে, আয়াতকে খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযুক্ত আবির মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে হাজির করা হলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)’র পরিদর্শক মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, আবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা এলাকায় আরবি পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হন আয়াত। এ ঘটনার পর ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি করে তার বাবা সোহেল রানা। নিখোঁজের ১০ দিন পর আয়ানের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আবির মিয়া নামে এক যুবককে। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর