৩০ নভেম্বর, ২০২২ ১৭:২২

চট্টগ্রামে আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী বিজয় মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী বিজয় মেলা

‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বীর বাঙালির অহংকার’ স্লোগানে মাসব্যাপী বিজয় মেলা আজ ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। 

বুধবার চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে এ মেলা উদ্বোধন করা হবে।

এছাড়াও আগামী ১৩ ডিসেম্বর বিকেল তিনটায় এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের গোল চত্বরে বিজয় শিখা জ্বালানো হবে। তবে আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম সফর উপলক্ষে মেলার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। 

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুস।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজয়মেলা পরিষদের কো চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, অর্থ সচিব পল্টু লাল সাহা, এসএম মাহবুবুল আলম, সৈয়দ মাহমুদুল হক, কো চেয়ারম্যান বদিউল আলম চৌধুরী, নৌ কমান্ডো আবু বকর, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সমাজসেবক ও রাজনীতিক ফরিদ মাহমুদ, আবদুল হালিম দোভাষ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ এবার অসংখ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। এর মধ্যে আছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধের চলচিত্র প্রদর্শন, বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলন, বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি ও নারী সমাবেশ। ১৩ ডিসেম্বর বিকাল ৩ টায় এম. এ. আজিজ স্টেডিয়াম গোলচত্বর সম্মূখে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলন ও জাতীয় পতাকা এবং মেলা পরিষদের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মেলার কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা, ১৫ ডিসেম্বর বিজয় মেলার প্রয়াত চেয়ারম্যান সাবেক সফল মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা চট্টলাবীর গণমানুষের প্রিয় নেতা আলহাজ্ব এ.বি.এমমহিউদ্দীন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিকঅনুষ্ঠান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে বিজয় মেলা।

লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ১৯৮৯ সালের পর থেকে গত ৩৩ বছর ধরে বিজয়মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এটি এখন চট্টগ্রামসহ সারা দেশের আন্দোলন-সংগ্রামের সূতিকাগার। দীর্ঘদিনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শাণিত করার লক্ষ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এবারও বিজয়মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।   

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে ইলেকট্রিক চেয়ারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় পতাকা উত্তোলনের স্মৃতি বিজড়িত পুরোনো সার্কিট হাউসের ব্যক্তিগত নামের জাদুঘর বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘর প্রতিষ্ঠা এবং বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানাই।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর