চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরীর হোল্ডিংসমূহের বিপরীতে ‘পি ফরমে প্রাপ্ত আপত্তিসমুহ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গঠিত রিভিউ বোর্ডের শুনানিতে করদাতারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। এখন থেকে করদারা আর বিভ্রান্ত হবার সুযোগ থাকবে না। করদাতাদের উপস্থিতিতে রিভিউ বোর্ড করদাতাদের ইচ্ছা মাফিক কর নির্ধারণ করে দেয়ার কারণে সকলেই খুশি মনে বাড়ি ফিরেছেন। তাই আপনারা কর দিন, আমরা সুন্দর নগর উপহার দেব।
বুধবার সকালে পাহাড়তলী নয়াবাজার মোড়ের একটি কমিনিউটি সেন্টারে চসিক রাজস্ব বিভাগের ৬নং সার্কেলের রিভিউ বোর্ডের গণশুনানিতে আপত্তি নিস্পত্তিকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
২৫০টি হোল্ডিংয়ের নোটিশের মধ্যে ১৫৭ হোল্ডিংয়ের করদাতা গণশুনানিতে অংশগ্রহণ করে তাদের মতামতের উপর কর ধার্য্যকৃত কর প্রদান করেন।
প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুনানিতে রিভিউ বোর্ডের দায়িত্ব প্রাপ্ত কাউন্সিলর আবদুল মান্নান, ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, জহুরুল আলম জসিম, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, মো. নূরুল আমিন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর তসলিমা নুরজাহান রুবি, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রিভিউ বোর্ডের সদস্য এড. রোকন উদ্দিন মুন্না, প্রকৌশলী রশিদুল করিম ও কর কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান প্রমুখ।
মেয়র বলেন, ২০১৭ সালে যে কর মূল্যায়ন করা হয়েছিল তাতে অনেক অসঙ্গতি ছিল। যার কারণে নগরবাসী আন্দোলন শুরু করলে তা স্থগিত করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর ২০২২ সালে তা পুনরায় চালু করার জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আসে, যে কারণে আবার কর আদায়ের কাজ শুরু করা হয়। কর মূল্যায়ন ক্ষেত্রে অসঙ্গতি দূর করার জন্য তিনিটি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে আপিল বোর্ড গঠন করা হয়।
তিনি বলেন, আপিল বোর্ডে আপিল করলে তা শুনানির মাধ্যমে সহনীয় পর্যায়ে কর নির্ধারণের ব্যবস্থা করা হয়। তারই অংশ হিসেবে প্রত্যেকটি সার্কেলে মেয়রের উপস্থিতিতে গণশুনানির পদক্ষেপ গ্রহণ করলে করদাতারা আপিল শুনানিতে অংশ গ্রহণ করেন। করদাতাগণের নিজেদের মতামত অনুযায়ী আপিল বোর্ড তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে কর নির্ধারণ করে দিচ্ছে। এতে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম