বোরো মৌসুমে চট্টগ্রাম বিভাগে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করবে সরকার। প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছ থেকে খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তরের মাধ্যমে এ ধান ক্রয় করা হবে। এতে করে প্রতি কেজি ধান কৃষকদের কাছ থেকে ৩০ টাকা করে ক্রয় করা হবে। তবে গত মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও তা পূরণ করতে পারেনি খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল।
কৃষকদের অভিযোগ, ধান ভেজা, ধানে চিটা আছেসহ নানা অজুহাতে ধান ফেরত দেওয়া হয়। এছাড়াও খোলা বাজারে এতকিছু দেখে না, দামও বেশি দেয়। ফলে সরকারের কাছে ধান বিক্রয় করার চেয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করার দিকে ঝুঁকছে কৃষক। গত ৭ মে থেকে শুরু হওয়া ধান ক্রয় চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক দোলন দেব বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের কৃষকদের কাছ থেকে এ ধান সংগ্রহ করা হবে। কোন কৃষকদের মাধ্যমে ধান ক্রয় করা হবে তাদের লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। এবার ধান প্রতি কেজি ৩০ টাকা করে কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করা হচ্ছে। ফলে কৃষকও লাভবান হবে, সরকারও লাভবান হবে। মূলত কৃষক যেন ন্যায্য দাবি পান, সেজন্য এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা ও নগরের তিন থানা মিলে এবার বোরো মৌসুমে ধানের সম্ভাব্য উৎপাদন ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ১১৭ মেট্রিক টন। চট্টগ্রামের ১৮ থানা থেকে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৩৫ মেট্রিক টন। রাঙামাটির ১২ উপজেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২১ হাজার ২৯৮ মেট্রিক টন ও ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬৬৮ মেট্রিক টন।
খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৩ হাজার ১২৯ মেট্রিক ও ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪২৫ মেট্রিক টন।
বান্দরবানের ৭ উপজেলার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৯ হাজার ৬৪৮ মেট্রিক টন ও ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫০৬ মেট্রিক টন। নোয়াখালীর ৯ উপজেলার সম্ভাব্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৬৫৬ মেট্রিক টন ও ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ৭০৮ মেট্রিক টন। লক্ষীপুরের সম্ভাব্য উৎপানের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৯১ হাজার ৩৫১ মেট্রিক ও ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৪৫২ মেট্রিক টন।
ফেনীর ৬ উপজেলার সম্ভাব্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪৩ মেট্রিক টন ও ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৩০৩ মেট্রিক। কুমিল্লার ১৭ উপজেলার সম্ভাব্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১০ লাখ ৩৯ হাজার ৪০৮ মেট্রিক টন ও ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৩ হাজার ৩১৯ মেট্রিক টন। চাঁদপুরের ৮ উপজেলার সম্ভাব্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৬২ হাজার ২১৯ মেট্রিক টন ও ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার ৩৬১ মেট্রিক টন। বি-বাড়িয়ার ৯ উপজেলার সম্ভাব্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৭ লাখ ১০ হাজার ২০৭ মেট্রিক ও ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৯ হাজার ১০০ মেট্রিক টন ও কক্সবাজারে ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৯৫ মেট্রিক টন ধান।
বিডি প্রতিদিন/এমআই