চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেছেন, দেশের আত্মনির্ভরশীল, বয়স্ক, কর্মঠ জনগোষ্ঠীর শুদ্ধ ডাটাবেইজ সরকারের যেকোনো পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। এ লক্ষ্যে হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে যাতে শিশুর জন্মের পরপরই জন্ম নিবন্ধন প্রদান করা যায় সে বিষয়ে সরকারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মত শিশুর জন্মের পরপরই একটি ইউনিক আইডি সম্বলিত জন্ম নিবন্ধন প্রদান করার বিষয়েও কাজ চলছে।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ‘নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করি’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য ও পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক শাহীনা সুলতানা। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হোসেন, গালিব চৌধুরী ও মাসুদ রানা, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাধবী বড়ুয়া, মানবাধিকার সংগঠন ইলমা’র প্রধান প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু, এনজিও বিষয়ক প্রতিনিধি মো. আলী শিকদার প্রমুখ।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সঙ্গে এনআইডিসহ সরকার প্রদত্ত সকল সনদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করতে সকলকে উৎসাহিত করতে হবে। সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদেরকে সেবা প্রত্যাশীদের হয়রানি না করে সেবা সহজীকরণ করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনসহ সরকারের সকল সেবা একই সিস্টেমে প্রদানের পরিকল্পনা আছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আত্মগোপন করে থাকা রোহিঙ্গারা যাতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবা পেতে না পারে সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মালেক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করা জরুরি। এ বিষয়ে সকলের সম্পৃক্ততা আছে। তাই সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর-প্রতিষ্ঠানকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ও বিধিমালা অনুসরণ করে কাজ করতে হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল