চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার প্রায় ১৪ বছর আগের আবদুল শুক্কুর হত্যা মামলায় তিন সহোদরসহ পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সোমবার চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চতুর্থ জেলা ও দায়রা জজ রোজিনা খানের আদালত এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-আনোয়ারার পশ্চিম সিংহরা এলাকার খাইরুজ্জামানের ছেলে আহামদ মিয়া (৪৯), মো. ইলিয়াছ (৫৪), নুরুল আবছার (৩৬), একই এলাকার মেহেরুজ্জামানের ছেলে মো. রফিক (৪৬) ও মো. সোলায়মান। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-আবদুল কুদ্দুছ, মো. আনোয়ার ও মো. এনাম।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী হাফেজ আহম্মেদ বলেন, ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে আনোয়ারা থানার আবদুল শুক্কুর হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন সহোদরসহ পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং তিনজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় মো. ইলিয়াছ ও নুরুল আবছার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আহামদ মিয়া, মো. রফিক ও মো. সোলায়মানের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার পশ্চিম সিংহরা এলাকার বাসিন্দা আবদু শুক্কুরকে ২০১১ সালের ১৯ আগস্ট বাসা থেকে ফোন করে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর তিনি নিখোঁজ হন। ২১ আগস্ট একদিন পর চাতরি এলাকায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে মো. মিজান বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দিলে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালে জাল দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শুক্কুরকে হত্যা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই