চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ভৌগলিক অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে সুপরিকল্পিত উদ্যোগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সাফল্য পাওয়া সিঙ্গাপুর বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। সিঙ্গাপুরের মতো চট্টগ্রামও বন্দর নগরী হওয়ায় চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য সিঙ্গাপুর একটি অনুসরণীয় উদাহরণ।
মঙ্গলবার বিকেলে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে সিঙ্গাপুর হাই কমিশনের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স শিলা পিল্লাই এর সঙ্গে বৈঠককালে এসব কথা বলেন তিনি।
চসিক মেয়র বলেন, সিঙ্গাপুর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছি। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি), বে-টার্মিনাল, মাতারবাড়ী গভীর সমুন্দ্রবন্দর, টানেলসহ বেশ কিছু মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে এমনভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে যাতে আমাদের পণ্য রপ্তানিতে সময় ও ব্যয় দু’টিই সাশ্রয় হয়, বাড়ে লজিস্টিকস সক্ষমতা। চট্টগ্রামের সাফল্য দেশকে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে রূপান্তর করবে।সিঙ্গাপুর হাই কমিশনের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স শিলা পিল্লাই বলেন, উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক অবকাঠামো, দক্ষ শ্রমিকের প্রাপ্যতা, অনুকূল অভিবাসন আইন এবং নতুন নতুন ব্যবসার সুপরিকল্পিত উদ্যোগ সিঙ্গাপুরকে আজকের অবস্থানে এনেছে। ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে হলে বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন উন্নত অবকাঠামো ব্যবস্থা আর আধুনিক গণমুখী নীতি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, দক্ষিণ এশিয়া এবং সিঙ্গাপুর-ভারত পার্টনারশিপ অফিসের পরিচালক অড্রি টান, সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়ির পরিচালক ফ্রান্সিস চোং, পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেডের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলফ্রেড সিম সহ সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিনিধিদল।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত
.jpg?v=1722043900)
