২৫ মে, ২০২৪ ১৮:৫৫

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় চট্টগ্রামে প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় চট্টগ্রামে প্রস্তুতি

সংগৃহীত ছবি

পূর্বমধ্য বঙ্গোপাসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্ন চাপটি শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার শংকায় চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। ইতোমধ্যে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদ এলাকায় চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, শুকনো খাবার মজুদ করাসহ স্বেচ্ছাসেবকদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে রেমাল। ইতোমধ্যে এই নিম্ন চাপের প্রভাবে শনিবার (২৫ মে) বিকেল থেকে চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকাগুলোতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে গুমোট পরিবেশ বিরাজ করছে। বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতিতে মহাবিপদ সংকেত দেখানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।

চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন জানান, রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছাড়তে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকদের দিয়ে মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া জনগণকে তথ্যসেবা দিতে নগরীর দামপাড়াস্থ চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগে চালু করা হয়েছে জরুরি কন্ট্রোল রুম। যার নম্বর  ০২৩৩৩৩৫৩৬৪৯। দুর্যোগ না কাটা পর্যন্ত শনিবার দুপুরে চালু হওয়া এ কন্ট্রোল রুম থেকে দুর্যোগকবলিত জনগণের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হবে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে বিতরণের জন্য শুকনো খাবার ও ত্রাণ মজুদ করা হয়েছে। এব্যাপারে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে রবিবার সকালে চসিক কার্যালয়ে মেয়রের সভাপতিত্বে সভা হবে।

রেমালের সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। ইতোমধ্যে রেমাল মোকাবেলায় বন্দরের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি মাদার ভ্যাসেলগুলোকে গভীর সাগরে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বন্দরের ডেপুটি কনজার্ভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম জানান, ঘূর্ণিঝড়টি যদি বন্দরের দিকে আসে তা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। একটি সেল গঠন করে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

একইভাবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগেও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী ও উপক‚লীয় এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর