চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণায় ঢাকা থেকে ১৩ বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে আসেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিফাতুর রহমান মজুমদার। ঘুরতে এসে গত মঙ্গলবার নিখোঁজ হন তিনি।
বৃহস্পতিবার নিখোঁজের তিনদিন পর ঝর্ণার কূপে ভেসে উঠেছে তার লাশ। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত সিফাত ঢাকার মিরপুর-১ এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভের (ইউডা) চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী।
সিফাতের বন্ধু অনিক চন্দ্র মোহন্ত জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঝর্ণায় যান তারা। কিছুক্ষণ ঘুরে ফিরে পাহাড়ের একটি স্থানে বন্ধুরা মিলে মদ-গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক সেবন করেন। এরপর বিকেল ৩টার দিকে সিফাতুর নিখোঁজ হন। পরে কয়েক ঘণ্টা খোঁজার পরও তার খোঁজ না মেলায় বিষয়টি তার পরিবারকে জানায় এবং পরে ওইদিন রাত ৮টার দিকে মিরসরাই থানা পুলিশের কাছে বিষয়টি জানানো হয়।
পরদিন বুধবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা ঝর্ণার কূপে-ঝোঁপঝাড়ে সবখানে উদ্ধার অভিযান চালান। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সিফাতুরের লাশ ঝর্ণার কূপের পানিতে ভেসে উঠলে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। নিহত সিফাতের ভাই রিফাত উর রহমান মজুমদার ও মামাতো ভাই সোহাগ হাওলাদার দাবি করেন, সিফাতুরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী বলেন, বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝর্ণা এলাকায় ঝর্ণার প্রতিটি ধাপে খুঁজেও সিফাতের সন্ধান মেলেনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল তল্লাশি শুরু করলে দুপুরের দিকে সিফাতের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।
মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দ্বীপ্তেশ রায় জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সিফাতুরের লাশ ফুলে গেছে। মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। আপাতত এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই