চট্টগ্রামে গত এক বছরে এইডসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন এবং আক্রান্ত হন ৮৪ জন। তাছাড়া, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর মোট ৩ হাজার ৮১৭ জনের এইচআইভি পরীক্ষা করান। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অ্যান্টি রিক্টোভাইরাল থেরাপি সেন্টার (এআরটি) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
জানা যায়, গত এক বছরে মোট এইচআইভি টেস্ট করান ৩ হাজার ৮১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৫৫৯ জন এবং নারী ১ হাজার ২৪১ জন। এতে এইডস শনাক্ত হয় ৮৪ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৬১ জন এবং নারী ২৩ জন। গত বছর এইডস আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও ২ জন নারী।
তাছাড়া, ২০২৩ সালে এইচআইভি সংক্রমণে আক্রান্ত রোগী ছিল ৫৮ জন এবং মারা যান ২৭ জন। গত এক বছরে বান্দরবানে ১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন, চট্টগ্রাম শহরে ৩৯ জন, কুমিল্লায় ৪ জন, ফেনীতে ৬ জন, নোয়াখালীতে ১০ জন, কক্সবাজারে ৬ জন, খাগড়াছড়িতে ৭ জন, রাঙামাটিতে ৩ জন সহ কয়েকটি জেলায় আরও ৭ জনের এইচআইভি পজিটিভ পাওয়া যায়।
চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. জুনায়েদ মাহমুদ খান বলেন, এইডস একসময় মরণব্যাধি হলেও এখন চিকিৎসার মাধ্যমে আক্রান্তরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে, এটি ইতিবাচক। নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং ফলোআপ করলে এখন এ রোগ নিয়েও সুস্থ থাকা যায়। তিনি বলেন, আক্রান্তের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছেন প্রবাসী এবং তাদের স্বজন। প্রবাসীদের অসচেতনতায় তাদের স্ত্রীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন এইচআইভি ভাইরাসে। যার কারণে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। যারা জন্মসূত্রেই আক্রান্ত হয়েছে এই রোগে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসব ব্যক্তির মাঝে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।
বিডি প্রতিদিন/এএম