বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটেছে। কিন্তুু বিভিন্ন সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে পারলে চলমান অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
রবিবার নগরীর নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম-১০ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পাহাড়তলী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর শামসুল আলমের সভাপতিত্বে হালিশহর থানা বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন ডিপ্টির সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট আবদুস সাত্তার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদুল আলম রাসেল, বিএনপির নেতা এস.এম আবুল ফয়েজ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তরুণ রাজনীতিক সাঈদ আল নোমান তূর্য, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ.ম. জামাল, হালিশহর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাংগীর আলম প্রমুখ।
নোমান বলেন, স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিএনপির মতো এতো দীর্ঘ সংগ্রাম কোনো সময়ে কেউ করেনি। দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দোলনে বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী জেল, জুলুম ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে কিন্তু কেউ আদর্শচ্যুত হয়নি। বিএনপি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং অপ্রতিদ্বন্দী রাজনৈতিক দল। তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বৈষম্যহীন একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূলমন্ত্র হিসেবে কাজ করবে।
এসময় তিনি অবিলম্বে দুর্নীতি দমন কমিশন পুনর্গঠন করে দুর্নীতি ও লুটপাটের সাথে জড়িত পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি পাচার করা লাখ লাখ কোটি টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল