উলুধ্বনি, শঙ্খ, ঘণ্টা আর ঢাকের বোলে আনুষ্ঠানিকভাবে আজ বরণ করা হবে দেবীদুর্গাকে। ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। আর এরই মধ্যদিয়ে দশভুজা এ দেবীর আগমনের প্রহরগুনা শেষ হচ্ছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায় ভক্তদের। দেশজুড়ে এ উৎসবকে আনন্দমুখর করে তুলতে মণ্ডপগুলো সাজানো হয়েছে নানান সাজে, হরেক কায়দায় বিভিন্ন উপাসনা গৃহের রেপ্লিকায়।
সনাতন দিনপঞ্জিকা মতে, আজ সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ ও বিহিতপূজা অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসবের মূল পর্ব। আগামীকাল মহাসপ্তমী, বুধবার মহাষ্টমী ও বৃহস্পতিবার মহানবমী ও বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় এ উৎসব। এ বছর মর্ত্যলোকে (পৃথিবীতে) দেবীর আগমন ঘটছে ঘোটকে (ঘোড়ায়) চড়ে। আর দেবীর গমন ঘটবে দোলায় চড়ে। যার ফল মড়ক। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারীর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে। তবে সনাতন বিশ্বাস মতে দেবী তার অশেষ কৃপায় সবাইকে রক্ষা করেন।
রাজধানীর বারিধারা বসুন্ধরা এলাকায় এবারই প্রথম বৃহৎ পরিসরে প্রায় পাঁচ বিঘা জমির ওপর আয়োজন করা হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব। পূজার মূল মণ্ডপ আকর্ষণীয় করে সাজানো হয়েছে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভেতরে কুড়িল পূর্বাচল লিংক রোডের ৩০০ ফুট রাস্তার পাশে বসুন্ধরা জি ব্লকে নান্দনিক এই আয়োজন আগত দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে। এখানে দৈর্ঘ্যে ৪০০ ফুট, চওড়ায় ৭০ ফুট ও উচ্চতায় প্রায় ৩৫ ফুট আয়তনের বিশাল এই পূজামণ্ডপে পাঁচ দিনব্যাপী পূজা-অর্চনার পাশাপাশি চলবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পূজামণ্ডপের মূল প্যান্ডেলের বাইরে কৃত্রিম লেকেও মনোরম আলোকসজ্জা করা হয়েছে। পূজামণ্ডপের লেকের ধারেই রয়েছে কাশবন, জলসিঁড়ি, রাজহাঁস সমেত মনোমুগ্ধকর সাজসজ্জা।
এর অাগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সীমানার বাইরে অ্যাপোলো হাসপাতালের কাছে একটি জায়গায় পূজা-অর্চনা হতো। এবারই বৃহৎ পরিসরে আবাসিক এলাকার ভেতরে বিশাল আয়োজনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করা হচ্ছে। জানা গেছে, পূজামণ্ডপ থেকে চারদিন ২০০ হিন্দু পরিবারের জন্য খাবার সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া আগত দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন দুই হাজার প্যাকেট প্রসাদেরও ব্যবস্থা রয়েছে। একসঙ্গে ১০ হাজার লোক বসুন্ধরার এই পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব পালনের সুযোগ পাবে বলেও জানা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ অক্টোবর, ২০১৫/ রশিদা