সিলেট ও খুলনার চাঞ্চল্যকর দুই শিশু সামিউল আলম রাজন ও রাকিব হত্যা মামলার বিচারিক আদালতের রায়ের নথি হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে এ নথি এসেছে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ।
জানা গেছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী বিচারিক আদালত ঘোষিত ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অনুমতি নিতে হয়। এ ধারায় বলা হয়েছে, ‘দায়রা আদালত যখন মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন, তখন হাইকোর্ট বিভাগে কার্যক্রম পেশ করবেন এবং হাইকোর্ট বিভাগ উহা অনুমোদন না করলে দণ্ড কার্যকর করা যাবে না’।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১৮ ধারা অনুযায়ী বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন আসামিপক্ষ। যদি আসামিপক্ষ আপিল করেন, তাহলে সেই আপিলসহ ডেথ রেফারেন্সের শুনানি হবে হাইকোর্টে।
এর আগে, গত রবিবার পৃথক পৃথকভাবে আলোচিত রাজন ও রাকিব হত্যা মামলার রায় দেন সিলেট ও খুলনার আদালত।
সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালত রাজন হত্যার দায়ে মূল অাসামি কামরুলসহ ৪ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। এছাড়া ১৩ আসামির মধ্যে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তিনজনকে সাতবছরের কারাদণ্ড ও ২ জনকে একবছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
অন্যদিকে, খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা রাকিব হত্যার দায়ে দুই আসামির ফাঁসির আদেশ দেন।
এদিকে, বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার মাত্র দু’দিনের মাথায় উচ্চ আদালতে নথি পৌঁছানোর ঘটনাও ব্যতিক্রমি বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।
বিডি-প্রতিদিন/১০ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব