উপকূলীয় জনপদ বরগুনাসহ দেশজুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ডেঙ্গু সংক্রমণ ঠেকাতে প্রচারণা চালানোর ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। রবিবার (৩ আগস্ট) সকালে বরগুণার বেতাগীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজন সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। ইতোমধ্যে বরগুনা জেলা ডেঙ্গুর রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই ডেঙ্গু সচেতনতায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ।
বসুন্ধরা শুভসংঘ বেতাগী উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মো. কামাল হোসেন খান বলেন, ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার এবং জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে। এ মশার ডিম দুই বছর পর্যন্ত জীবিত থাকে। আমাদের আশপাশে থাকা যে কোনো পানির পাত্র, ফুলের টব, ব্যবহারহীন ড্রাম, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা কিংবা প্লাস্টিক প্যাকেট এসবই এডিস মশার প্রজননের আদর্শ জায়গা। এজন্য আবাসিক হলের কোথাও পানি জমেছে কিনা সেটা আমাদের তদারকি করতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়।
আলোচনা সভায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন বলেন, ডেঙ্গুর কারণে প্রতি বছর স্কুল কলেজের অনেক শিক্ষার্থীদের ভুগতে হয় এবং এ রোগ থেকে রক্ষা পেতে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সচেতন হওয়া।
বসুন্ধরা শুভসংঘের উপদেষ্টা ও কালের কন্ঠ'র উপজেলা প্রতিনিধি স্বপন কুমার ঢালী বলেন, দৃষ্টি রাখতে হবে, মশার কামড় খাচ্ছেন কিনা। ঘুমানোর অবশ্যই মশারি টাঙ্গাতে হবে। তাছাড়া যদি কারো ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দেয়, তখন অবহেলা না করে যেতে হবে চিকিৎসাকেন্দ্রে। চিকিৎসা কেন্দ্রে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট সরবরাহ করা হয়।