১৪ বছরের ধ্বংসযজ্ঞের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়াকে দ্রুত পুনর্গঠন করতে হবে—এটি শুধু দেশটির নয়, পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।
দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর নতুন ইসলামপন্থী প্রশাসনের জন্য পুনর্গঠন এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
“আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই সিরিয়া পুনর্গঠনে দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে,” জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)-এর সিরিয়া বিষয়ক উপপ্রতিনিধি রাউহি আফাঘানি এই সপ্তাহে জেনেভা সফরের সময় এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন।
তিনি আরও বলেন, “দেশটিকে যুদ্ধ ও ধ্বংসস্তূপ থেকে পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করা শুধু সিরীয়দের জন্যই নয়, বরং পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও কল্যাণের জন্যও অপরিহার্য।”
২০১১ সালে আসাদ সরকারের বিক্ষোভ দমন থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং দেশটির অবকাঠামো প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সিরিয়া পুনর্গঠনে ব্যয় হতে পারে প্রায় ২১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।
যদিও আফাঘানি নির্দিষ্ট কোনো অঙ্ক উল্লেখ করেননি, তিনি এটিকে “বিরাট চাহিদা” হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি জানান, দেশজুড়ে গভর্নররা তাঁকে জানিয়েছেন—বাসস্থান, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বিদ্যুৎ ও পানির তীব্র সংকট রয়েছে।
এর সঙ্গে দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অগণিত অবিস্ফোরিত গোলাবারুদও পুনর্গঠন কার্যক্রমের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র: আরব নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজিম