চট্টগ্রামকে ঘিরে সারা দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখছে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে চট্টগ্রামই হবে দেশের ‘বিজনেস হাব’। এখানে প্রাকৃতিক সুবিধা যেমন আছে, তেমনি বিশ্বজুড়ে ঐতিহাসিক পরিচিতিও আছে। তাই উন্নয়নের কারণে তিন বছর পর চট্টগ্রামের চেহারা বদলে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
রবিবার নগরীর পাঁচতারকা হোটেল র্যাডিসন ব্লু’র মেজবান হলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার উদ্বোধন ও চিটাগাং চেম্বারের (সিসিসিআই) শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে পাঁচ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
চট্টগ্রামের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে এলএনজি প্রজেক্টের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। মহেশখালীতে চারটি ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হবে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করা হবে। উন্নয়নের মহাযজ্ঞে তিন বছর পর চট্টগ্রামকে আর চেনা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, এখন বাংলাদেশের সময়। দেশ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে যত চেষ্টাই করেন না কেন পিছিয়ে নিতে পারবেন না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ আশাবাদী। জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৭৪ ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শুধু স্বপ্নই দেখান না, বাস্তবায়নও করেন। তিনি একটি স্বপ্ন বাস্তবায়নের পর নতুন স্বপ্ন দেখান।
সিসিসিআই সভাপতি ও এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে ‘দ্য বে অব বেঙ্গল গ্রোথ ট্রায়্যাঙ্গেল অ্যান্ড দ্য মেরিটাইম সিল্ক রুট’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একে খান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন কাসেম খান। প্রবন্ধে ঐতিহাসিক তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বিশ্লেষণধর্মী বক্তব্যে চট্টগ্রামে বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন। বিগ-বি ইনিশিয়েটিভ হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড, এনার্জি এবং ট্রান্সপোর্টেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আলোচনায় করেন শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, কানাডার হাইকমিশনার বেনওয়া পিয়ের লাঘামে, বেঙ্গল চেম্বারের সভাপতি সুতানু ঘোষ, এফবিসিসিআইর প্রথম সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, জাইকার সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ হিতোশি আরা, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর ওলেগ টনকোনোজেনকোভ, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবরার আনোয়ার প্রমুখ।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী, মির্জা সালমান ইস্পাহানি প্রমুখ। ধন্যবাদ বক্তব্য দেন সিসিসিআইর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি নুরুন নেওয়াজ সেলিম।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা