বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আমরা বার বার বলেছি, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন। জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে না দিলে, টিকফা কখনই কার্যকর হবে না।
আজ দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে শামীম ওসমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এ কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, পোষাক শিল্পের উন্নয়নের জন্য আমাদের যা যা করণীয় আমরা তা তাই করেছি। কিন্তু পোষাক শিল্প নিয়ে যত মিটিং হয়, তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে, আরও করো। আমার আর কি করবো তা খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা এত কিছু করার পরও কেন তারা জিএসপি ফিরিয়ে দিচ্ছে না? রাজনৈতিক কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বেঁধে দেওয়া ১৭টি জিএসপি কর্মপরিকল্পনার সব শর্তই পূরণ হয়েছে। জিএসপি স্থগিতাদেশ ফিরে না পাওয়ার আর কোনো কারণ নেই। তারা বলছেন পোশাক শিল্প কারখানার কর্মপরিবেশের অগ্রগতি হয়েছে। আরো অগ্রগতি করতে হবে। তবে আর কি অগ্রগতি করতে হবে তা বুঝতে পারছি না।
তিনি আরো বলেন, মার্কিন বাজারে জিএসপি সুবিধা না পাওয়ার কোন কারণ নাই। সব শর্তই পূরণ হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জিএসপি সুবিধা স্থগিত সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি প্রবাহ অব্যাহত আছে।
ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি ৮ গুণ:
মো. আব্দুল্লাহর (লক্ষীপুর-৪ )লিখিত প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সংসদকে জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশ গত ৫ মাসে মোট পণ্য আমদানি করেছে ১৭ হাজার ১৫২ কোটি টাকা (দুই হাজার ১৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। আর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৭৪ কোটি টাকা (২৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। এই হিসাবে ভারতের সাথে বাংলাদেশের প্রায় ৮ গুণ বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাথে অন্যান্য দেশের বাণিজ্য ঘাতটির পরিমান ৭৩ হাজার ৮৬ কোটি টাকা (৯৩৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। বাণিজ্যিক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মোট ৪৮ টি দেশের সাথে চুক্তি করেছে। এর মধ্যে ৩৮ টি দেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আছে। এছাড়া তিন দেশের সাথে চুক্তি করা হলেও তার কার্যকারিতা নেই। এছাড়া আরো ৭ টি দেশের সাথে চলমান বাণিজ্যের পাশাপাশি সম্প্রসারণের চুক্তি রয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষের এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৮টি দেশসহ মোট ৫২টি দেশে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পায়।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, দেশীয় শিল্প সংরক্ষণ, উৎপাদনে উৎসাহ প্রদান, আমদানি ব্যবস্থা অধিকতর সহজীকরণ এবং শিল্পের কাচাঁমাল সহজলভ্য করে আমদানি নীতি আদেশ প্রণীত হয়েছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানি ব্যবধান ক্রমান্বয়ে কমে আসছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৩ ফেব্রুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন