সাউথ এশিয়ান গেমসে সাতারে দুটি স্বর্ণ পদক জয় করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কৃতি শিক্ষার্থী মাহাফুজা খাতুন শিলাকে সংবর্ধনা দিয়েছে সিইউজেএডি। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে তাকে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সিইউজেএডি ঢাকায় অবস্থানরত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত। স্বর্ণজয়ী শিলা বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
সংগঠনের সভাপতি জসিম উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্র্থীদের মধ্যে আতাউল গনি সুমন, জাগরণ চাকমা, পারভেজ চৌধুরী, মোমেনা আক্তার পপি, দিল আরা লিনা, হাসান মেজর, ইফতেখার রাজু ও বারেক কায়সার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সিইউজেএডির সাধারণ সম্পাদক তন্ময় মজুমদার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
ভারতের গুয়াহাটির ডক্টর জাকির হোসেন অ্যাকুয়াটিক কমপ্লেক্সে ৫০ মিটার ও ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকের দুটি ইভেন্টে সোনার পদক জিতে গোটা দেশের মাহফুজা হয়ে গেলেন যশোরের নোয়াপাড়ার এ জলকন্যা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুতে ছিলেন অ্যাথলেট। পায়ের ইনজুরির জন্য বেছে নেন সাঁতার। ২০০৩ সালে পাড়ার এক ক্রীড়ানুরাগী বড় ভাইয়ের পরামর্শে শিলা ভর্তি হন বিকেএসপিতে। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। স্বর্ণ জয়ের কৃতিত্বের ভাগীদার করেছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং জাতীয় দলের কোরিয়ান কোচ তেগুন পার্ককে। তাদের উৎসাহেই তিনি এবারের এসএ গেমসে দেশকে দু’টি স্বর্ণপদক উপহার দিতে পেরেছেন বলে জানান।
শিলার পুরস্কারের ঝুলিতে রয়েছে ২০০৭, ০৮ ও ১০ সালে ইন্দোবাংলা গেমসে স্বর্ণজয়। ২০১০ সালে নেপালের সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ প্রতিযোগিতায়ও স্বর্ণ জিতেন মাহফুজা। ২৫ বছর বয়সী শিলার আগে বাংলাদেশের কোন নারী সাঁতারু আন্তর্জাতিক কোনো গেমসে দু’টি স্বর্ণপদক জিততে পারেননি।
শিলার স্বপ্ন এবার অলিম্পিক ঘিরে। জানালেন, এসএ গেমসে স্বর্ণ আনতে পেরেছি। অলিম্পিকেও দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করব। এখন থেকেই সেই চেষ্টা শুরু। এছাড়া ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দলের কোচ হওয়ার স্বপ্নও দেখেন শিলা।