নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুনের দুটি মামলায় দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা হতে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ২৩জনের উপস্থিতিতে ওই দু'জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আগামী ৪ এপ্রিল পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
সাক্ষ্য দেওয়া দুইজন হলেন সাত খুনের ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান ও নজরুলের আত্মীয় শাহজালাল মিয়া।
এ দু'জনের মধ্যে শহীদুল ইসলাম সাত খুনের কয়েক মাস আগে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মানববন্ধন ও থানায় জিডিও করেছিল। যদিও সাত খুনের পর তিনিই প্রথম র্যাবের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের ইঙ্গিত দেন। পরে তাকে নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক পুলিশ প্রহরা দিলেও গত নভেম্বরে সেটা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে কঠোর নিরাপত্তায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও কাশীমপুর কারাগার থেকে সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন, র্যাবের চাকরিচ্যুত তিনজন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, এম এম রানা ও আরিফুর রহমানসহ ২৩ আসামিকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, বৃহস্পতিবার দুইজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ এপ্রিল অন্যদের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।
জানা গেছে, সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফতার রয়েছেন ২৩ জন। পলাতক ১২ জন। সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী বিজয় কুমার পাল। তিনি নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা ও অপর বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হয়েছে ১২৭ জন করে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ মার্চ ২০১৬/ এস আহমেদ