পরিবার ও স্ত্রীর পক্ষ থেকে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না পেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন সোহাগ (২৭)। ভোলার ছেলে সোহাগ নগরীর চান্দগাঁও থানার কালুরঘাটে বালু শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না সোহাগের। তাই দ্বিতীয় বিয়ে অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অনুমতি না মেলায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বুধবার ভোর ৬টার দিকে কালুরঘাট এলাকার একটি আম গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোহাগ ভোলার চর ফ্যাশন থানার ওসমানগঞ্জ গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
চান্দগাঁও থানার ওসি সৈয়দ মো. শাহজাহান কবির জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সকালে সোহাগের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কালুরঘাট ব্রিজের পাশে বালুর টাল এলাকার একটি আম গাছে ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সংসার জীবনে সোহাগ সুখী ছিলেন না। তাই দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হয়ে আসছিল না তার। এক সময় স্ত্রী তার বাবার বাড়ি চলে যায়। এ অবস্থায় আবারও বিয়ে করবে বলে পরিবারকে জানায়। কিন্তু তার বাবা ও স্ত্রীর পক্ষ থেকে অনুমতি পাননি সোহাগ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ এপ্রিল, ২০১৬/ রশিদা