চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই ৪১টি ওয়ার্ডে 'ডোর টু ডোর' বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শতভাগ চালু করা হবে। ২০১৭ সনের ডিসেম্বরের মধ্যে নগরীকে সবুজায়ন করা হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে নগরীর সকল সড়ক মান সম্মত কার্পেটিং রাস্তায় উন্নীত করা হবে। শতভাগ আলোকিত করা হবে ৪১টি ওয়ার্ডকে।
গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর আগ্রাবাদ হোটেলের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম চেম্বার, মেট্রোপলিটন চেম্বার, মহিলা চেম্বার, বিজিএমইএ, শিল্পগ্রুপ, চিটাগাং ক্লাব, মোবাইল অপারেটর কোম্পানি, ফিলিংষ্টেশন, বণিক কল্যাণ সমিতি, ডেকোরেশন মালিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, মিসেস জোবাইরা নার্গিস খান, নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. শফিউল আলম, চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিজিএমইএ এর প্রথম সহ সভাপতি মঈন উদ্দিন আহমেদ মিন্টু, সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আখতার উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সাহাব উদ্দিন।
সিটি মেয়র বলেন, নগরীতে তিন লক্ষ হাউজহোল্ডার এবং এক লাখ দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ক্লিনিক, কমিউনিটি সেন্টার ও কাঁচাবাজার আছে। 'ডোর টু ডোর' পদ্ধিতিতে আবর্জনা সংগ্রহ এবং ডাম্পিং করতে এগুলোকে কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। প্রতিটি হাউজহোল্ডারের জন্য দুই রং এর ২টি বিন, প্রতিটি দোকান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩টি করে প্লাস্টিক বিন সরবরাহ করা হবে। ১০ লক্ষ প্লাস্কিট বিন এবং এ সকল বিন বহনে ২ হাজার ভ্যানগাড়ীর প্রয়োজন হবে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে দরকার হবে ৪ হাজার অতিরিক্ত জনবল।
আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল-নালার ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে মাটি ও আবর্জনা উত্তোলন, খাল-নালা দখল মুক্ত করাসহ গত অর্থ বছরে জাইকা, এডিপি, থোক, রাজস্ব খাতের অর্থ থেকে প্রায় ৭২২টি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৫ শত কোটি টাকার কার্যক্রম চলমান। সবুজ নগরীর বিষয়ে অসংখ্য দেশী-বিদেশী সংস্থা তাদের প্রস্তাবনা পেশ করেছে। ধীরে ধীরে তা বিবেচনা পূর্বক বাস্তবায়ন করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ এপ্রিল ১৬/ সালাহ উদ্দীন