রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যামামলার চার্জশীটভুক্ত ১১ আসামির মধ্যে ৯ জনই জামিনে আছেন। উচ্চ আদালত থেকে তারা সবাই জামিন নিয়েছেন। আইনজীবী অ্যাডভোকেট রইসুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার প্রধান অভিযুক্ত যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল আত্মসমর্পণ করার পর এ বিষয়টি প্রকাশ পায়।
মামলার ৯ আসামি জামিনে থাকলেও বিষয়টি নিহতের পরিবার, সহকর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে যিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন তিনিও জানেন না। এছাড়া তারা জানেন না মামলার বিচারের অগ্রগতি কতদূর। মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামিরা জামিনে থাকার বিষয়টি জানার পর তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অ্যাডভোকেট রইসুল ইসলাম বলেন, ১১ জন আসামির মধ্যে ৯ জনই উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। জামিন না পাওয়ায় যুবদল নেতা আবদুস সামাদ পিন্টু এখনও কারাগারে আটক আছেন। জামিনে থাকায় আসামিরা হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দফতরের সেকশন অফিসার নাসরিন আকতার রেশমা, কারাগারে থাকা পিন্টুর সহযোগী আরিফুল ইসলাম মানিক, সিরাজুল ইসলাম ওরফে কালু, সবুজ শেখ, আল মামুন, ইব্রাহিম খলিল ওরফে টোকাই বাবু, আরিফ, সাগর ও জিন্নাত আলী।
এদিকে চার্জশীটভুক্ত আসামিরা জামিনে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার ও সহকর্মীরা। তারা বলছেন, আসামিরা এভাবে আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বেরিয়ে গেলে শফিউলের পরিবার ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবে।
নিহত শফিউলের ছেলে সৌমিন শাহরিদ জেভিন বলেন, ‘মামলার কী অবস্থা কিছুই আমাকে জানানো হয় না। আজ শুধু জেনেছি একজন আসামি আত্মসমর্পণ করেছেন। এখন বাইরে থাকায় বেশি কিছু বলতে পারছি না।’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ওয়ারদাতুল আকমাম বলেন, ‘মামলার অগ্রগতি বলতে চার্জশীট দেওয়া পর্যন্ত জানি। এর বেশি কিছু জানি না।’
মামলা প্রসঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এন্তাজুল হক বলেন, 'মামলার অগ্রগতির বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। এ বিষয়ে পুলিশ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ভালো বলতে পারবেন।'
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ এপ্রিল ১৬/ সালাহ উদ্দীন