সর্বহারা পরিচয়ে চাঁদা চেয়ে রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, পবা ও মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ চারজনকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একই মোবাইল নম্বর থেকে তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
হুমকি পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন: রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম, পবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মশিউর রহমান ও পবা উপজেলা নির্বাচন অফিসের কম্পিউটার অপারেটর মজিবুল হক।
পবা উপজেলা নির্বাচন অফিসের কম্পিউটার অপারেটর মজিবুল হক জানান, শনিবার সকাল ১১টার দিকে ০১৭০০ ৫৫৮৭৯১ মোবাইল নম্বর থেকে এক ব্যক্তি তাকে ফোন করেন। এরপর সে নিজেকে সর্বহারা জনযুদ্ধের সদস্য বিপ্লব বলে পরিচয় দেয়। এরপর সে তার বসের সঙ্গে কথা বলতে বলে। এ সময় ফোনের ওপাশের এক ব্যক্তি ফোন হাতে নিয়ে মজিবুল হককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং চাঁদা দাবি করেন। ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের দলের টাকার প্রয়োজন, কত টাকা চাঁদা দিবেন বলেন?’ চাঁদা না দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর মজিবুল হক ফোন কেটে দেন বলে জানান তিনি।
মজিবুল হক আরও বলেন, ‘আমাকে হুমকি দেওয়ার কিছুক্ষণ পর একই নম্বর থেকে পবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানকে ফোন দিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়। বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।’
একই নম্বর থেকে রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম ও মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মশিউর রহমানকে সর্বহারা পরিচয়ে চাঁদা দাবি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বিপ্লব নামের এক ব্যক্তি কথা বলার চেষ্টা করেন। আমি চাঁদা চেয়ে হুমকির বিষয়টি বুঝতে পেরে ফোনের লাইন কেটে দেই।’ বিষয়টি তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও এমন হুমকির মুখোমুখি হয়েছি। তাই এখন আর ভয় হয় না।’
মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মশিউর রহমান জানান, একই নম্বর থেকে তাকে ফোন করা হয়। তিনিও হুমকির বিষয়টি বুঝতে পেরে ফোন করা ব্যক্তিকে শাসান। এতে সেই ব্যক্তিকে তার কাছে চাঁদা চাওয়ার সুযোগ পাননি।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ মে, ২০১৬/ আফরোজ