বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভায় বাক-বিতণ্ডায় জড়ালেন সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদল ও সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী। মূলত মঈনুদ্দিন খান বাদলের বক্তব্য প্রদানকালে সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী মন্তব্য করায় এই ঘটনার সৃষ্ঠি হয় বলে জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
শনিবার বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভায় এমপি বাদল ডা. দেবী শেঠির তত্ত্বাবধানে ‘চট্টগ্রাম বন্দর বঙ্গবন্ধু ক্যান্সার হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জানতে চাইলে শামসুল হক ‘হবে না, হবে না’ মন্তব্য করলে বাকবিতণ্ডার সূত্রপাত হয়।
এ সময় শামসুল হকের উদ্দেশে মঈনুদ্দিন খান বাদল বলেন, ‘হু আর ইউ! আমি সভার সভাপতি নৌ পরিবহন মন্ত্রীর কাছে বিশেষায়িত হাসপাতালটির অগ্রগতি কতদূর হয়েছে তা জানতে চেয়েছি। আপনার কাছে নয়। ২০১০ সালে যখন ওই হাসপাতাল নির্মাণের ব্যাপারে চুক্তি হয়েছিল তখন আমি (বাদল) ও নৌ-মন্ত্রী চুক্তিপত্রে সাক্ষী হয়েছিলাম। এরপর নৌ-মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দুই এমপির বাকবিতণ্ডার অবসান হয়।
উপদেষ্টা কমিটির এ সভায় ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, এমএ লতিফ, ফজলে করিম চৌধুরী, দিদারুল আলম, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল, চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান, বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি মইনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি একেএম আকতার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, উপদেষ্টা কমিটির সভায়, বন্দরের বে টার্মিনাল, লালদিয়া বাল্ক টার্মিনাল, হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বন্দরের ১২৪ জন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। তাদের স্মৃতি জাগরূক রাখতে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ মে ১৬/ সালাহ উদ্দীন