সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) কঠোর নির্দেশনার পর নগরীর শাহী ঈদগাহে ঝুঁকিপূর্ণ তিনতলা ভবন ভাঙা শুরু করেছেন ওই ভবনের মালিক। রবিবার সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু হয়।
শাহী ঈদগাহ এলাকার অনামিকা ৬৯ নম্বর ওই বাসার মালিক এডভোকেট সৈয়দ মহসিন আহমদ ও সৈয়দ সাজিদুর রহমান।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী দল দিয়ে জরিপ করে নগরীতে ৩২টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ভবনগুলো স্বেচ্ছায় ভেঙে না ফেললে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ভেঙে ফেলার কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়। সিটি করপোরেশনের এমন নির্দেশনার পর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মালিকরা নড়েচড়ে বসেন। তারা স্বেচ্ছায় ভবনগুলো ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেন। সিটি করপোরেশনের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে স্বেচ্ছায় ভবন খালি না করায় গত ২১ এপ্রিল নগরীর তাঁতীপাড়ায় তিনতলা একটি ভবন সিটি করপোরেশন ভেঙে ফেলে।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন হার্ডলাইনে যাওয়ায় রবিবার নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকার অনামিকা ৬৯ নম্বর বাসাটিও স্বেচ্ছায় ভাঙার কাজ শুরু হয়। গতকাল দুপুরে ভবন ভাঙার কাজ পরিদর্শন করতে যান সিসিক’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব ও প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নূর আজিজুর রহমান।
সিসিক’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব জানান, বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীরা যেসব ভবন ও মার্কেটকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে অপসারনের সুপারিশ করেছেন সেসব ভবন মালিককে স্বেচ্ছায় স্থাপনা অপসারণের নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা স্থাপনা অপসারণের উদ্যোগ নিবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে সিটি করপোরেশন নিজ উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভাঙার কাজ শুরু করবে। নীতিমালা অনুযায়ী এসব ভবন ভাঙার ব্যয়ভারও ভবন মালিককে বহন করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৮ মে, ২০১৬/ আফরোজ