চট্টগ্রামের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন প্রতি বছরই ইফতার পার্টির আয়োজন করে থাকে। এ আয়োজনকে সামনে রেখে চলে দাওয়াত, শোডাউন ও রাজনৈতিক কর্মসূচিও। রমজানের শুরু থেকে চট্টগ্রামে জমে উঠছে ইফতার রাজনীতি। নানা রাজনৈতিক সংগঠন, বেসরকারি সংগঠন, প্রতিষ্ঠানসহ অনেকেই আয়োজন করছেন এসব ইফতার মাহফিলের। কিন্তু ব্যতিক্রম হয় রাজনৈতিক দলের ইফতার মাহফিলগুলোর।
এবারের রমজানে দলীয় অবস্থান শক্ত করতে ইফতার শোডাউনের টার্গেট করেছে বিএনপি-আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে চট্টগ্রাম মহানগরসহ জেলা ও প্রতিটি উপজেলাসহ ইউনিয়নে এসবের আয়োজন করলেও কিছুটা পিছিয়ে আছে বিএনপি। রমজানে দলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে ঈদের পর আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানান দলের নেতা-কর্মীরা। ইতিমধ্যে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে বিজিএমইএ এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
বৃহস্পতিবার প্রশাসনসহ রাজনৈতিক দলের পৃথক তিনটি ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে। এদের মধ্যে নগর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা পুলিশ। আজ শুক্রবার জিইসি কনভেনশন সেন্টারে ইফতার পার্টির আয়োজন করছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। এছাড়া ইফতারের প্রস্ততিতে পিছিয়ে নেই চট্টগ্রাম নগর, জেলা জাতীয় পার্টির নেতারাও। আগামী সপ্তাহের যে কোন সময় এ আয়োজন করবেন বলে জানান জাপা নেতা রেজাউল করিম রেজা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, রমজান মাস পবিত্র মাস। এ মাস প্রস্ততির মাস। কেন্দ্রীয় নিবার্হী কমিটির বৈঠকের মাধ্যমে ঈদের পর আন্দোলনে নামা হবে। চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভিন্ন ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করা যায়। সাংগঠনিক কর্মকান্ডও বৃদ্ধি পায়। এ আয়োজন সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উপস্থিত হওয়ার আহবান করেছেন নেতারা। এ ছাড়া আগামী সপ্তাহে সাবেক সিটি মেয়র মনজুর আলমও তার বাসভবনে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবেন। একই কথা বললেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি নেতা হাসান মো. জসিম।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে ইফতারকে কেন্দ্র জামায়াতে ইসলাম শোডাউন দেয়ার চেষ্টা করছে। চকবাজারসহ শিবিরের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারেও এসবের প্রস্তুতি চলছে। এতে কোন ধরণের শোডাউন না হয় সে দিকে প্রশাসনের নজরদারিও রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ জুন ১৬/ সালাহ উদ্দীন