মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক ছাত্রীর। রবিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা গেটের কাছে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় শান্তনা বসাক নামের ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়।
শান্তনা বসাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থানার মাধইনগর গ্রামের নরেন্দ্রনাথ বসাকের মেয়ে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয় হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার বিকেল থেকেই শান্তনা বসাক বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের পার্শ্ববর্তী রেল লাইনে হেঁটে হেঁটে মুঠোফোনে কথা বলছিলেন। তার কানে হেডফোন লাগানো ছিল। চারুকলা গেটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বেশ কয়েকবার তাকে রেল লাইন থেকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত করলেও তিনি শোনেননি। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা গেট অতিক্রম করছিল। ট্রেনটির সামনে থাকা শান্তনা বসাক তখনও ফোনে কথা বলছিলেন। ট্রেনের পরিচালক বারবার হর্ন বাজালেও ফোনালাপে মগ্ন শান্তনা কিছুই টের পাননি। এ সময় পেছন থেকে ট্রেনের ধাক্কা খেয়ে মাথায় গুরুতর জখম হন তিনি। আহত অবস্থায় স্থানীয় শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী উপপরিদর্শক মো. শফিক বলেন, গুরুতর আহতাবস্থায় ওই ছাত্রীকে আট নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে চিকিৎসা শুরুর আগেই তার মৃত্যু হয়।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ