শিক্ষকরা যদি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বদলে সরাসরি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তবে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যহত হয় বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল রবিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ৪১ তম শাহাদত্ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতেই পারে, তবে শিক্ষকদের রাজনীতিতে সক্রিয় না হওয়াই উত্তম। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সময় না দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনাকে কিভাবে আরও গতিশীল করা যায় সে বিষয়ে শিক্ষকদের উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি তার বক্তব্যে মাদককে প্রধান সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা জঙ্গিবাদ নয়, তরুণ সমাজকে ধ্বংস করার জন্য মাদকই মূল ভূমিকা রাখছে। তাই মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি।
এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যূতে নেতা-কর্মীদের আত্ম-প্রচারণার সমালোচনা করে তিনি বলেন, শুধু বিলবোর্ড-ব্যানারে নাম লেখা ও ছবি প্রকাশ করার মধ্যে নিজেদের কর্মকাণ্ডকে সীমাবদ্ধ রাখলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের যে মডেল তা বাস্তবায়ন করা যাবে না। তিন ঘন্টা মঞ্চে বসে থেকে বক্তব্য দেওয়ার চেয়ে তিনটি রাস্তা পরিদর্শন করা ভাল, তাতে অন্তত তিন লক্ষ মানুষের উপকার হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও জাবি শাখার সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি। এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আরেক সহ-সভাপতি ও জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি এনামুল হক শামীম, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ