রাজশাহী রেলস্টেশনে টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে আটক সাতজনকে ছাড়িয়ে নিতে দুই ম্যাজিস্ট্রেটকে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন রেল শ্রমিকরা। পরে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হলে ম্যাজিস্ট্রেটদের মুক্তি দেওয়া হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজশাহী রেলস্টেশনে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই আদালতের নেতৃত্বে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল ও ফয়সল হক। তারা স্টেশনের বুকিং সেন্টার থেকে ৭ জনকে আটক করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রেল শ্রমিকরা ম্যাজিস্ট্রেটদের অবরুব্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। রাত পৌনে ৮টার দিকে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের মধ্যস্থতায় ওই ৭ জনকে ছেড়ে দেওয়া হলে ম্যজিস্ট্রেটদের মুক্তি দেওয়া হয়।
রেল শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান জানান, যাদের আটক করা হয়েছিল তারা সবাই রেলের বুকিং সহকারী। তাদের দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ করে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তারা কোনো টিকিট কালোবাজারি করছিলেন না।
শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ম্যাজিস্ট্রেট অবরুদ্ধের ঘটনায় স্টেশনে টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলোও বিভিন্ন স্টেশনে বন্ধ করে রাখা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ট্রেন যাত্রী ও টিকিট নিতে আসা লোকজন। তবে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল।
বিডি প্রতিদিন/১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/আফরোজ