রাজধানীর আজিমপুরে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পুলিশের অভিযান চলাকালে গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। একই ঘটনায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পাঁচ সদস্য ও তিন নারী জঙ্গি আহত হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় আজিমপুরে বিজিবি সদর দফতরের ২ নম্বর গেইট সংলগ্ন ২০৯/৫ নম্বরের ছয় তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট অভিযান শুরু করলে জঙ্গিরা বিস্ফোরক ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযান চলাকালে শারমিন (২৫) নামে এক নারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার দুই সহযোগীসহ আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দীন কোরেশি সাংবাদিকদের বলেন, 'পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক যুবক মারা গেছে। তার বয়স ও পরিচয় এখনও আমরা তা জানতে পারিনি। আহত হয়েছে তিনজন নারী। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। এছাড়া দুই পুলিশ সদস্য ছুরিকাহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় জঙ্গি পুলিশের চোখে মরিচ নিক্ষেপ করলে আরো তিন পুলিশ সদস্য জখম হয়। এদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।'
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, রাত পৌনে ৮টার দিকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা ভাড়াটিয়াদের তথ্য নিতে ওই বাসায় যায়। তখন সেখান থেকে পুলিশের ওপর গুলি ও গ্রেনেড ছোড়া হয়। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। এরপর পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট আজিমপুরে অভিযান চালাচ্ছে। সঙ্গে আছেন সোয়াতের সদস্যরাও। আপাতত ওই এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মারুফ হাসান বলেন, ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পুলিশের অভিযান চলাকালে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় পুলিশের পাঁচ নারী জঙ্গিদের তিন সদস্য আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজিমপুরে বিজিবি সদর দফতরের ২ নম্বর গেইট সংলগ্ন ২০৯/৫ নম্বরের ছয় তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় এ অভিযান চালানো হয়। শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই বাড়ি থেকে একজন নারী ও এক শিশুকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
একটি সূত্র জানায়, আজিমপুরের ওই বাসাটি চলতি মাসের ১ তারিখে ভাড়া নেয় মিরপুর থেকে আসা এক ব্যক্তি। তাই স্থানীয় লোকজন ওই বাসার বাসিন্দাদের সেভাবে চিনতেন না।
এর আগে লালবাগ থানা-পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) জানিয়েছিলেন, এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন একজন নারীকে আটক দেখানো হয়েছে। ওই স্থানে এখনো অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম